Take a fresh look at your lifestyle.

শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

বাল্যবিবাহে অস্বীকৃতি: শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

205

নাটোর জেলার গুরুদাসপুরে ছেলের বাল্যবিবাহ মেনে না নেওয়ায় দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সাংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক ও তার পরিবার। আজ সকালে ভুক্তভোগীর নিজ বাসভবনে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাখেন উপজেলার দড়িকাছিকাটা সরকারী প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম (৫২)। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে  বলেন, আমার ছেলে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী।  পারিবারিক কারণে আমার ছেলেকে  শাসন করলে সে রাগ করে তার নানার বাড়িতে যায়।

সেখানে আমার শ্যালক মোঃ বাটুল প্রাং (৪৫) কৌশলে তার ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে সাথী খাতুন (১৬) এর  সাথে আমার ছেলেকে জোর করে  বিয়ে দেয়। সেই বিয়ে বাল্যবিবাহ ও কোন রেজিষ্ট্রি না থাকায় মেনে নিতে অস্বীকার করি। পরে আমার ছেলে বাড়ীতে চলে আসলে শ্যালক তার মেয়েকে দিয়ে নানা নাটক সাজিয়ে আমাকেসহ পরিবারের ৪ সদস্যদের নামে গুরুদাসপুর আমলী আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

সেই হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার ও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি শিক্ষক সোরওয়াদী হোসেন, মাসুদুর রহমান  ও ভুক্তভোগী শিক্ষকের আসন্ন এসএসসি পরিক্ষার্থী ছেলে। এ সময় বাহাদুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আকবর হোসেন আলমগীরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মামলার বিবাদী বা আসামী মোঃ শহীদুল ইসলাম একজন প্রধান শিক্ষক হওয়ায় তিনি বিষয়টি নিয়ে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পরেছেন। তিনি চান প্রশাসন যেন দ্রুত বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মামলার মূল আসামী মোঃ নাইম হোসেন এর জম্ম তারিখ ১০/০৩/২০০৬ খ্রি. অথচ মামলার এজহারে দেখানো হয়েছে ২০ বছর।

সহাকারী শিক্ষক মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, একজন মানুষ গড়ার কারিগরের উপর এমন হয়রানীমূলক মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। প্রশাসনের কাছে উদাত্ত আহবান জানাই, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শিক্ষককে এই মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য।

ভূক্তভোগীর পরিবার আরও জানায়, আমার ছেলে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া সত্বেয় কেন কাজী এই সাজানো বিয়ে পড়ালেন তার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা দ্রুত এটি তদন্ত সাপেক্ষে সমাধান করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আহবান জানান।

সংবাদ দাতা- মোঃ সোহাগ আরেফিন

Comments are closed.