Take a fresh look at your lifestyle.

স্বশরীরে পাঠদান ১২ সেপেটম্বর থেকে, সংক্রমণ বাড়লেই বন্ধ

সকল বিষয় এক সংবাদে

488

দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর রোজ রবিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বিদ্যালয় খোলা, ক্লাস চলমান রাখা, বিভিন্ন শ্রেণির পরীক্ষা নিয়েও তিনি বিস্তারিত কথা তুলে ধরেন। এ প্রতিবেদনে যথাসম্ভব সকল বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।

স্কুল-কলেজ খোলার প্রস্তুতি নিতে ১৯ নির্দেশনা

সংক্রমণ কমে আসায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এ সিদ্ধান্তের পাশাপাশি বেশ কিছু নির্দেশনা প্রদান করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি হিসেবে ১৯টি নির্দেশনা প্রকাশ করা হয় এর আগেই। এগুলোকে বলা যায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার গাইড লাইন। এখানে নির্দেশনাসমূহ তুলে ধরা হলো-
১। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ মুখসহ অন্যান্যস্থানে কোডিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারী সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে করণীয় বিষয়গুলো ব্যানার বা অন্য কোন উপায়ে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।
২। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পথে সব শিক্ষক-কর্মচারী শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমে [ইনফারেড থার্মোমিটর] নিয়মিত তাপমাত্রা মাপা ও তা পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। শিক্ষার্থীরা যেন ভিড় না করে এ জন্য প্রতিষ্ঠানের সবগুলো প্রবেশমুখ ব্যবহার করার ব্যবস্থা করা। একটি প্রবেশমুখ থাকলে সেক্ষেত্রে একাধিক প্রবেশমুখের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করতে হবে।
৪। প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন পরিবেশে শ্রেণি কার্যক্রমে স্বাগত জানানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
৫। প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করবে এবং বাসা থেকে যাওয়া-আসা করবে সে বিষয়ে শিক্ষণীয় ও উদ্বুদ্ধকারী ব্রিফিং দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের দেওয়া ভিডিও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬। প্রতিষ্ঠানের যে কোন একটি কক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ আইসোলেশন কক্ষ হিসেবে প্রস্তুত রাখতে হবে।
৭। প্রতিষ্ঠান ভবনের সকল কক্ষ, বারান্দা, সিঁড়ি, ছাদ এবং আঙ্গিনা যথাযথভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৮। প্রতিষ্ঠানের ওয়াশরুম নিয়মিত সঠিকভাবে পরিষ্কার রাখা এবং পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা করতে হবে।
৯। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী এবং অভিভাবক প্রবেশের সময় সরকার দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন করার ব্যবস্থা করতে হবে।
১০। প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর সঠিকভাবে মাস্ক (সম্ভব হলে কাপড়ের মাস্ক) পরিধান করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
১১। প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্থানে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দ্বারা হাত ধোয়ার এমন ব্যবস্থা করা যাতে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ঢোকার আগে সবাই সাবান দিয়ে হাত ধুঁতে পারে।
১২। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে পারস্পারিক ৩ (তিন) ফুট শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
১৩। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ, ড্রেন ও বাগান যথাযথভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা এবং কোথাও পানি জমে না থাকে তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
১৪। প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা নিরুপণ করতে হবে।
১৫। প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
১৬। স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে হবে।
১৭। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দঘন শিখন কার্যক্রমের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত করতে হবে।
১৮। প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত মেরামত, বৈদ্যুতিক মেরামত এবং পানি সংযোগজনিত মেরামত সম্পন্ন করতে হবে।
১৯। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের সাথে সভা করে এতদসংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

 

স্কুল-কলেজে অ্যাসেম্বলি হবে না

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুরুতে অ্যাসেম্বলি করা হবে না। তবে, শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার সুযোগ পাবে। পঞ্চম শ্রেণির ও এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রত্যেক দিন ক্লাসে যাবে। এছাড়া শিক্ষাথীদের অন্যান্য ক্লাস সপ্তাহে একদিন চলবে।
গত বছর ৮ মার্চ দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ওই বছর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দফায় দফায় বাড়িয়ে সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
এসএসসি-এইচএসসি ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস প্রতিদিন।
পঞ্চম শ্রেণির ও এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রত্যেক দিন বিদ্যালয়ে যাবেন। এছাড়া অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষাথীরা সপ্তাহে একদিন করে ক্লাসে যাবে।

শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, শুরুতে এ বছর ও আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহের ছয় দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবে। ১ম, ২য়, ৩য়, চতুর্থ, ৬ষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে এক দিন আসবে। শুরুর দিন (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে চার-পাঁচ পিরিয়ড ক্লাস হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুরুর দিন (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে চার-পাঁচ পিরিয়ড ক্লাস হবে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাসে আসবে। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে ও ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে যারা এসএসসি ও এইচএসসি দেবে তাদের প্রতিদিন স্কুলে আসতে হবে।

আপাতত বন্ধ থাকছে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির ক্লাস

আজ ০৫/০৯/২০২১ খ্রি. রোববার বিকেলে  এ কথা জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম। তিনি জানান, পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে প্রাক্‌–প্রাথমিক শিক্ষা সশরীর চালু করা হবে। এখন প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণি থেকে ক্লাস শুরু হবে।

উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে এক বছর মেয়াদি প্রাক্‌–প্রাথমিক শিক্ষা চালু আছে। তাছাড়া ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কিন্ডারগার্টেনগুলোতে প্লে গ্রুপ, নার্সারি ও কেজি নামে আলাদা প্রাক্‌–প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রবেশের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করবে

তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে ক্লাসের সংখ্যা বাড়বে। স্কুলে প্রবেশের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করাতে হবে। ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি বা খেলাধুলা চলবে তবে স্কুলে আপাতত কোনও অ্যাসেম্বলি হবে না।

খুলছে ইংরেজি মাধ্যমও

করোনা বৈশ্বিক মহামারিতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো বন্ধ ছিল ইংরেজি মাধ্যমও। তবে এ সময়ে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোতে চলেছে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম। ব্রিটিশ কারিকুলামে নিয়মিত পরীক্ষাও নিয়েছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্যবিধির সবকিছু ঠিক থাকলে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে ইংরেজি মাধ্যমেও।

সংক্রমণ বাড়লেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকার কারণে কোথাও যদি আমরা কখনো মনে করি যে, সংক্রমণ বাড়ার কোনো আশঙ্কা আছে; সেখানে আমরা সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, যদি স্থানীয় পর্যায়ে কোনো নির্দিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ কারণে বন্ধ করে দেওয়ার প্রয়োজন হয়, আমরা সেই সিদ্ধান্ত নেব। কারণ কোনোভাবেই আমরা শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে অবহেলা করব না।

১২ সেপ্টেম্বর থেকেই শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু

আগামী ১২ সেপ্টেম্বর (রোববার) থেকে স্কুল-কলেজগুলোতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
দীপু মনি বলেন, শুরুতে চার ঘণ্টা করে ক্লাস হবে। পর্যায়ক্রমে সব শ্রেণির ক্লাসের সময় বাড়ানো হবে।
এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস প্রতিদিন
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মন্ত্রী জানান, প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ, সপ্তম, নবম শ্রেণির ক্লাস হবে সপ্তাহে এক দিন। ২০২১ এবং ২০২২ সালে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দেবে, তারা প্রতিদিন ক্লাস করবে বলেও জানান মন্ত্রী।

মাস্ক ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ নয়

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাস্ক পরিধান করা ছাড়া কেউ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকবেন না। অভিভাবকদের এখানে বড় ভূমিকা রয়েছে। তারা তাদের সন্তানদের বাসা থেকেই মাস্ক দিয়ে দেবেন, যাতে শিক্ষার্থীরা মাস্ক পরিধান করেই আসে। শিক্ষার্থী ছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে।
তিনি বলেন, যত ধরনের গাইডলাইন আছে, সেগুলো শিক্ষকরা নিশ্চিত করবেন। সচেতনতা তৈরির প্রয়োজন আছে। এই রোগটি (করোনা) প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

প্রথম দিন ৪-৫ ঘণ্টা ক্লাস, পর্যায়ক্রমে বাড়বে

মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর খুলছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ওইদিনই শুরু হবে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস। প্রথম দিন ৪-৫ ঘণ্টা ক্লাস হবে, তবে পর্যায়ক্রমে ক্লাসের সময় ও সংখ্যা বাড়ানো হবে।
ডা.দীপু মনি বলেন, ‘২০২১ সালে অর্থাৎ চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর পর শুরুর দিকে প্রতিদিন স্কুলে আসতে হবে। এছাড়া পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও প্রতিদিন ক্লাসে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘১২ সেপ্টেম্বর শুরুর দিন চার-পাঁচ ঘণ্টা ক্লাস হবে। পর্যায়ক্রমে ক্লাসের সংখ্যা ও সময় বাড়বে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে চেকলিস্ট পূরণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। র্যান্ডম স্যাম্পল (নিয়মিত নমুনা পরীক্ষা) করে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্তও নেয়া হতে পারে।’
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের জানান, শুরুতে এ বছর ও আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহের ছয় দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবে। ১ম, ২য়, ৩য়, চতুর্থ, ৬ষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে এক দিন আসবে। শুরুর দিন (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে চার-পাঁচ পিরিয়ড ক্লাস হবে।
তিনি আরও জানান, পর্যায়ক্রমে ক্লাসের সংখ্যা বাড়বে। স্কুলে প্রবেশের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করাতে হবে। ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি বা খেলাধুলা চলবে। তবে স্কুলে আপাতত কোনও অ্যাসেম্বলি হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ইস্যুতে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

চলতি বছরের অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী এর আগেই খোলার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সিদ্ধান্ত নেবে। এ ইস্যুতে উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। সভা শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ভিসিদের সঙ্গে কথা হয়েছিল যে, অন্ততপক্ষে সব শিক্ষার্থী এক ডোজ টিকা নেওয়ার পরে দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার। সে সিদ্ধান্তের আলোকে মধ্য অক্টোবর ঠিক করা হয়েছিল।
মন্ত্রী আরও বলেন, সেখানে (বৈঠক) অবস্থা আবারও পর্যবেক্ষণ করে যদি তারা সিদ্ধান্ত নেন যে, তারা অক্টোবরের আগেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিদ্ধান্ত তাদের সিন্ডিকেট ও একাডেমিকভাবে হয়ে থাকে। তাই এ সিদ্ধান্ত তারাই নেবেন। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে আবারও একটি বৈঠক করব।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থী টিকা পায়নি-এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একজন সাংবাদিক। জবাবে তিনি বলেন, ১৮ বছরের বয়সীদের টিকা দেওয়া যখন শুরু হয়, তার মধ্যে যাদের এনআইডি আছে তাদের নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, তারা কী পাবলিক, প্রাইভেট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাকি সাত কলেজের, সেটা দেখা হয়নি। কাজেই যেকোনো শিক্ষার্থীর বয়স যদি ১৮ বছরের ওপরে হয়, তার এনআইডি থাকলে এখনই তিনি নিবন্ধন করতে পারেন। এখন তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা নিতে পারেন। যার এনআইডি নেই, তার জন্যও বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বৈঠকে উপস্থিতি

৫ সেপ্টেম্বর এর এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিপ্তরের মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমসহ সংশ্লিষ্টরাও উপস্থিত ছিলেন।

 

Comments are closed.