Take a fresh look at your lifestyle.

এমপিও নীতিমালা জারির ৫ মাস পর পদ সৃজনে অর্থের ‘না’

160

 

সংযুক্ত এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষকের পদ সৃজন করা হয়েছিল। গত নভেম্বরে জারি করা কারিগরির সংশোধিত এমপিও নীতিমালায় পদটি নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এদিকে বেসরকারি এমপিওভুক্ত মাদরাসার কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও অফিস সহায়ক পদটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় মাদরাসার সংশোধিত এমপিও নীতিমালায়। কিন্তু নীতিমালা জারির ৫ মাস পর অর্থ মন্ত্রণালয় এ পদগুলোর বিরোধীতা করেছে।

নীতিমালা জারির কয়েক মাস পর অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, সংযুক্ত ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষক পদ সৃজন করা যাবে না। একইসাথে মাদরাসার কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও অফিস সহায়ক পদটিরও বিরোধিতা করেছে। সংযুক্ত ডিপ্লোমা এগ্রিকালচার ও ফিশারিজ প্রতিষ্ঠানের দুইটি পদের বিরোধীতাও করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ প্রেক্ষিতে এ পদগুলো বাতিল করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা প্রশাসন। যদিও শিক্ষক কর্মচারীদের মনে প্রশ্ন কেন এ পদগুলো বাতিল করা হচ্ছে?

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র এ প্রশ্নের উত্তরে সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের সংশোধিত এমপিও নীতিমালা জারির আগে তা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন করানো হয়নি। তাই নীতিমালা জারির ৫ মাস পর অর্থ মন্ত্রণালয় নানা শর্ত দিচ্ছে। তাই পদগুলো বাতিল করা হচ্ছে।

জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ। এ নীতিমালায় বেশকিছু পদ সৃষ্টি ও অন্তর্ভুক্ত করা হলেও তা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন করানো হয়নি। কারিগরির সংশোধিত নীতিমালায় বিএম কলেজের সাথে সংযুক্ত এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষক ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা পদটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যদিও ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে জারি করা নীতিমালায় পদটি ছিল না।

একই ভাবে গত ২৩ মে মাদরাসার সংশোধিত এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জনবল কাঠামোতে মাদরাসায় ল্যাব চালু থাকলে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদ ও একজন অফিস সহায়ক পদ অন্তর্ভুক্ত ছিল। সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসায় ল্যাব চালু থাকলে একটি কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। আর আলিম মাদরাসায় ১টি, ফাজিল মাদরাসায় ২টি ও কামিল মাদরাসায় ৩টি অফিস সহায়কের পদ অন্তর্ভুক্ত ছিল।

গত ২৯ এপ্রিল নীতিমালার এসব পদ সৃজনের বিরোধীতা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। নীতিমালাগুলো চূড়ান্তকরণের অর্থবিভাগ কিছু শর্ত দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, সংযুক্ত এসএসসি ভোকেশনাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেয়া যাবে না। অপর দিকে সংযুক্ত ডিপ্লোমা এগ্রিকালচার ও ফিশারিজ প্রতিষ্ঠানের ১৭ টি পদের মধ্যে ১৫টি সৃজন করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছে অর্থ বিভাগ। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর পদার্থ ও রাসায়নের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর পদ বাতিল করার কথা বলেছে অর্থ বিভাগ।

এদিকে মাদরাসার এমপিও নীতিমালার ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসায় কম্পিউটার ল্যাব অপারেটরের পদ সৃজন করা যাবে না। ফাজিল ও কামিল মাদরাসায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের পদ সৃজন করা যাবে না। আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসায় অফিস সহায়ক পদও সৃজন করা যাবে না।

সে প্রেক্ষিতে মাদরাসার কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও অফিস সহায়ক পদটি বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া ফাজিল ও কামিল স্তরের জন্য অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের পদসংখ্যা কমানো হয়েছে। গত ১২ মে এসব তথ্য জানিয়ে আদেশ জারি করেছে মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ।

এদিকে নীতিমালা জারির পরে নতুন পদ বাতিলের খবরে সাধারণ শিক্ষকদের মনে বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে। জনবল কাঠামো জারির পর পদ বাতিল করায় অনেকেই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শিক্ষকরা বলছেন, নীতিমালা জারির আগে এ বিষয়গুলো পরিষ্কার করলেই হতো।

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র  বলছেন, নীতিমালা দুইটিতে নতুন পদ সৃষ্টি করা হলেও তা প্রকাশের আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেয়া হয়নি। তাই, নীতিমালা জারির ৫ মাস পর অর্থ মন্ত্রণালয় এর বিরোধীতা করছে। কর্মকর্তারা বলছেন, স্কুল কলেজের এমপিও নীতিমালা জারির আগে তা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন করে নেয়া হয়েছে। তবে, কারিগরি ও মাদরাসার নীতিমালার ক্ষেত্রে এ অনুমোদন না নেয়ায় এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে সংশ্লিষ্টরা নীতিমালা জারির আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না নিয়ে নতুন পদসৃষ্টি করায় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অদক্ষতা বলেও মন্তব্য করছেন কেউ কেউ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খানের সাথে দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

এদিকে এ বিষয়টি নিয়ে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহিদ হোসেনও এ বিষয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।-দৈনিকশিক্ষা

আরও পড়ুন

* হাতের স্পর্শ ছাড়াই হাত ধোয়ার মেশিন পেলো ৬৭ স্কুল

* আগে উচ্চতর স্কেল তারপর ১৩তম গ্রেড চান প্রাথমিকের শিক্ষকরা

*  পাওনার টাকা চাওয়ায় প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা

*  DPED প্রশিক্ষণ ভাতা প্রাপ্তীতে বাধা কোথায়: কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা

* জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট

Comments are closed.