Take a fresh look at your lifestyle.

ইবতেদায়ি মাদরাসা ও শিক্ষকদের তথ্য যাচাই করছে কমিটি

300

ইবতেদায়ি মাদরাসার প্রকৃত সংখ্যা ও শিক্ষকদের তথ্য যাচাইয়ে ছয় সদস্যের একটি কমিটি করেছে। কমিটি মাঠ প্রশাসন থেকে পাঠানো তথ্য যাচাই-বাছাই করে ডাটা এন্ট্রি, শিক্ষকের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, ব্যাংক থেকে পাওয়া মাদ্রাসার তথ্য যাচাই করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।

৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশাসন ও অর্থ শাখার পরিচালককে। অধিদফতরের অর্থ শাখার উপপরিচালক, প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক, খুলনা বিভাগের পরিদর্শক ও মেমিসের প্রোগ্রামারকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। আর বরিশাল অঞ্চলের পরিদর্শককে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাঠ প্রশাসন থেকে পাঠানো ইবতেদায়ি মাদ্রাসার সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন ওঠায় তা অধিকতর যাচাই-বাছাই করতে এ কমিটি করা হয়েছে।

কারণ এসব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করতে সরকার প্রধানের একটি অনুশাসন রয়েছে। সেজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে এ প্রতিবেদন পাওয়ার পর এসব প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত করার কাজ শুরু হবে।

জানা গেছে, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা এমপিওভুক্ত করতে ২০১৮ সালে নীতিমালা জারি করা হলেও দুই বছরের বেশি সময়েও শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হতে পারেননি।

২০১৯ সালের জুনে মাসে এসব মাদ্রাসার এমপিওভুক্ত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দেন।

এই প্রস্তাবনা অনুযায়ী দেশের ৪ হাজার ৩১২টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা এমপিওভুক্ত করতে খরচ হবে ৩১১ কোটি টাকা। অনুমোদিত প্রস্তাবনা অনুযায়ী, এমপিওভুক্তির পর স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মাসে ১৪ হাজার টাকা বেতন পাবেন।

এছাড়া বৈশাখী ভাতা বাবদ ২ হাজার ৫০০ টাকা ও উৎসব ভাতা ৬ হাজার ২৫০ টাকা পাবেন। এছাড়া জুনিয়র শিক্ষক, মৌলভী এবং কারিরা মাসে বেতন হিসেবে পাবেন ১০ হাজার ৮০০ টাকা। সঙ্গে ঘর ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা হিসেবে পাবেন ১৫০০ টাকা।

এছাড়া বৈশাখী ভাতা হিসেবে ১ হাজার ৮৬০ ও উৎসব ভাতা হিসেবে ৪ হাজার ৬৫০ টাকা পাবেন তারা।

Comments are closed.