হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. দুলাল মিয়া। তবে এই সরকারি চাকরিজীবীকে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে মৃত দেখানো হয়েছে।
এতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ইএফটির মাধ্যমে বেতন-বিল পাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। দুলাল মিয়া মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে।
সম্প্রতি তিনি ইএফটির কাজ করতে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারেন। পরে দুলাল মিয়া এই তথ্য সংশোধন করে ভোটার তালিকায় নাম পূর্ণ স্থাপনের জন্য উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আবেদন করেন।
রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দুলাল মিয়া জানান, ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন কার্যক্রমের আওতায় ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি।
অথচ উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের লোকজন তাকে মৃত দেখিয়ে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে রেখেছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী দুলাল মিয়ার জন্ম ১৯৭৯ সালের ২ অক্টোবর।
শিক্ষকের পরিবার ও লিখিত আবেদন সূত্রে জানা গেছে, দুলাল মিয়া ২০১০ সাল থেকে উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে বেতন-বিল দেওয়ার নতুন প্রক্রিয়া চালু করে।
সম্প্রতি প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র নিয়ে ইএফটির মাধ্যমে মাসিক বেতন পেতে আবেদন করতে উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ে যান দুলাল মিয়া। কিন্তু সার্ভারে তার আবেদন প্রক্রিয়াটি ভুল দেখায়।
পরে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই-বাছাই করতে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন তিনি। তখন তিনি জানতে পারেন, নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে তাকে মৃত দেখানো হয়েছে।
দুলাল মিয়া আরও বলেন, ‘ইএফটির মাধ্যমে বেতন-বিল করতে গিয়ে আমি মৃত বলে জানতে পারি। একজন জীবিত ব্যক্তিকে কীভাবে তারা মৃত দেখাতে পারেন? এখন আমি ইএফটির মাধ্যমে বেতন-বিল কীভাবে তুলব?
বিষয়টি সংশোধনের জন্য আবেদন করতে আমি নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। পরে ভোটার তালিকায় আমার নাম পূর্নস্থাপনের জন্যে আবেদন করেছি।’
মাধবপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় হয়তো ভুলবশত পরিচয়পত্রের কোনও সংখ্যা পরিবর্তনের কারণে এমন হয়ে থাকতে পারে। কারণ ছাড়া অন্য কোনও কারণে কারও নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার বিধান নেই।
বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যথাযথভাবে আবেদনের পর ওই শিক্ষকের তথ্য হালনাগাদ করা হবে।
source : muktoprovat
Comments are closed.