বিয়ে হয়েছে মাত্র একদিন। নতুন সংসার যার চোখের সামনে দৃশ্যমান। জীবনের এক নতুন পথে যেখানে যাত্রা সেখান থেকে চিরতরে কেড়ে নিল ঘাতক ট্রাক।
নাটোর জেলার বড়াইগ্রামে বিয়ের পর দিন শ্বশুর-শাশুড়িকে বাসে তুলে দিয়ে ফেরার পথে দ্রুতগামী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হন শাহীদুজ্জামান সুমন (৩০) নামে এক স্কুল শিক্ষক ।
গত শনিবার রাত পৌনে দশটার দিকে বনপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। নিহত শাহীদুজ্জামান সুমন পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার উত্তর বটকাজল গ্রামের আব্দুস সাত্তার মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সময় সুমনের মামা শ্বশুর জাকির হোসেনও আহত হন। তিনি বাগাতিপাড়া উপজেলার কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি দয়ারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করেন।
নিহতের মামা শশুড় আহত জাকির হোসেন জানান, শুক্রবার দয়ারামপুরের নিজ বাসায় বাউফলের দশমিনা এলাকার কনে লামিয়া জেবিনের সঙ্গে সুমনের বিয়ে সম্পন্ন হয়। শনিবার রাতে তিনি বনপাড়া বাইপাস মোড় থেকে তার শ্বশুর-শাশুড়িকে বরিশালগামী বাসে উঠিয়ে দিয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ পথে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে মহাসড়কের পাশে দাঁড়ালে একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান শিক্ষক।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি খন্দকার শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রাকটি চিহ্নিত করার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।
কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. রমজান আলী জানান, আমি দুদিন থেকে ছুটিতে ঢাকায় আছি, এ কারণে বিয়ের বিষয়টা জানি না। তবে সহকর্মীরা মোবাইলে আমাকে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম শোক নেমে এসেছে।
শিক্ষার্থীরা যেন এমন মিত্যুকে কোনভাবেই মানতে পারছে না। শোকের ছায়া শুধু শিক্ষার্থীদের মধ্যেই নয়। শোকের ছায়া বিরাজ করছে বাড়ির আশেপাশেও।
তথ্যসূত্রঃ অহিদুল হক স্যারের ফেসবুক ওয়াল থেকে।
Comments are closed.