Take a fresh look at your lifestyle.

নগদ-এ বিতরণ: উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছে না ১ হাজার ৭১৯ শিক্ষার্থী

441

নগদ-এর মাধ্যমে বিতরণ শুরুর পর থেকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ১ হাজার ৭১৯ জন শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে ছয় মাস (দুই কিস্তি) উপবৃত্তির টাকা যাওয়া বন্ধ। কি কারণে তাদের টাকা আসছে না তা জানেন না বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপবৃত্তি টাকা আগে বিতরণ করতো শিওরক্যাশ, এখন করেছে নগদ। বিতরণের দায়িত্ব নগদ পাওয়ার পর থেকেই ওই ১ হাজার ৭১৯ জন শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আসছে না।

প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ঘুরে দেখা যায়, উপবৃত্তি বঞ্চিত অনেক শিক্ষার্থী বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে। কয়েক মাস পরেই এই শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষাজীবন পেরিয়ে যাবে। ওইসব শিক্ষার্থীরা মাঝে উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রথমে শিওর ক্যাশের মাধ্যমে আমাদের ফোনে উপবৃত্তির টাকা প্রতিমাসে আসতো। কিন্তু তা বদলে আবার নগদে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। এরপর থেকেই আমাদের সন্তানরা উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছে না। ছয় মাস থেকে উপবৃত্তির টাকা ঢুকছে না। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আপনাদের সমস্যা ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপবৃত্তিবঞ্চিত অভিভাবকদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের তথ্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কয়েক দফায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠিয়েছেন। কিন্তু ওই শিক্ষার্থীরা এখন পর্যন্ত উপবৃত্তির টাকা পায়নি। প্রায় ছয় মাস থেকে তারা উপবৃত্তির টাকা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে নতুন অ্যাকাউন্ট উপবৃত্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্তিতে কোথাও ভুল হয়েছে। তাই এই শিক্ষার্থীরা টাকা পাচ্ছে না।

ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাম্মৎ হাসিনা ভূঁইয়া বলেন, শিওর ক্যাশের বদলে নগদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে উপবৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের বিতরণের সিদ্ধান্ত জানা যায়। জানুয়ারী থেকে জুন মাসে দুই কিস্তি উপবৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। কিন্তু অজানা কারণে ১ হাজার ৭১৯ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কাছে টাকা আসেনি। যেসব শিক্ষার্থীর অভিভাবকের মোবাইল অ্যাকাউন্টে উপবৃত্তির টাকা আসেনি তাদের তালিকাসহ ফোন নাম্বার শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে একই সমস্যা দেখা দিয়েছে দিনাজপুর জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও।

Comments are closed.