৩০ বছর বা তার বেশি বয়সী বাংলাদেশিরা এখন থেকে করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে বাধা নেই। করোনার টিকা নিতে নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপে এই বয়সসীমা ৩০ বছর ও তদূর্ধ্ব করা হয়েছে। এর আগে এটি ৩৫ এর উর্দ্ধে বয়সীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
গত সোমবার সন্ধ্যায় করোনার টিকার নিবন্ধনের সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে গিয়ে দেখা যায়, ৩০ বছর ও এর বেশি যেকোনো বয়সী বাংলাদেশি করোনার টিকা নিতে পারবেন।
গত ৫ জুলাই টিকা নিবন্ধনের বয়সসীমা কমিয়ে ৩৫ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।
দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এর পরের দিন করোনার টিকার জন্য নিববন্ধনের জন্য ৪০ বছর বয়স সীমা নির্ধারণ করে সরকার। সেদিন দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনা দেন। এর আগে ৫৫ বছর বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন ২১ জনকে টিকা দেওয়া হয়। পরের দিন রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেওয়া হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৮ জুলাইয়ের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে, গত রোববার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত সারা দেশে ১ কোটি ৭ লাখ ৪১ হাজার ৭৫৫ জন করোনার টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। সূত্র মতে, দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ৩৩ জন এবং দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৪২ লাখ ৯৭ হাজার ৪০৮ জন। সিনোফার্মের প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৭ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪৬ জন এবং দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ২ হাজার ২৯৭ জন। আর ফাইজারের প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৪৯ হাজার ৩১২ জন। মডার্নার প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৫৯ জন।
Comments are closed.