Customize Consent Preferences

We use cookies to help you navigate efficiently and perform certain functions. You will find detailed information about all cookies under each consent category below.

The cookies that are categorized as "Necessary" are stored on your browser as they are essential for enabling the basic functionalities of the site. ... 

Always Active

Necessary cookies are required to enable the basic features of this site, such as providing secure log-in or adjusting your consent preferences. These cookies do not store any personally identifiable data.

No cookies to display.

Functional cookies help perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collecting feedback, and other third-party features.

No cookies to display.

Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics such as the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.

No cookies to display.

Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.

No cookies to display.

Advertisement cookies are used to provide visitors with customized advertisements based on the pages you visited previously and to analyze the effectiveness of the ad campaigns.

No cookies to display.

Take a fresh look at your lifestyle.

প্রেষণা – শিশুর শিখনে প্রেষণার প্রয়োজনীয়তা

2,533

প্রেষণা – শিশুর শিখনে প্রেষণার প্রয়োজনীয়তা

আমরা জীবনে যা কিছু করি তার সব কিছুর মৌলিক উৎস হলো প্রেষণা (motivation)।

প্রেষণার যথাযথ পরিতৃপ্তির মাধ্যমে মানুষ জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

শিক্ষাক্ষেত্রেও প্রেষণার গুরুত্ব অপরিসীম।

বিদ্যালয়েরপাঠে শিক্ষার্থীর আগ্রহ বা উ‪চ প্রেষণা থাকলে বিদ্যালয়ে তার ফলাফল ভাল হয়ে থাকে।

আবার শেখার প্রতি প্রেষণা বা আগ্রহের অভাবে অনেক শিক্ষার্থীই বিদ্যালয়ে ভাল ফলাফল করতে ব্যর্থ হয়।

এক্ষেত্রে শিক্ষক বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে শিক্ষার্থীর মাঝে প্রেষণার সঞ্চার করতে পারেন।

এরূপ কিছু কৌশল নিচে আলোচনা করা হলো-

১. প্রেষণার আচরণিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী শিশু বা শিক্ষার্থীর প্রেষিত আচরণের মূল নির্ধারকহলো বাহ্যিক পুরস্কার বা শাস্তি।

পুরস্কারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিখন উপযোগী প্রেষণা সৃষ্টি করা সম্ভব।

বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক ও নেতিবাচক বলবর্ধক সৃষ্টিকারী উদ্দীপক ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রেষণা সৃষ্টি করা সম্ভব।

তবে নিন্দা, ঠাট্টা, ভীতি প্রদর্শন ও শাস্তি অপেক্ষা যোগ্যতার স্বীকৃতি, প্রশংসা ও উৎসাহদান প্রেষণা সৃষ্টির ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর।

শ্রেণিকক্ষে এসব কে․শলের ব্যবহার শিক্ষার্থীদের পঠিত বিষয়ের প্রতিআগ্রহী বা উৎসাহিতকরে তোলে, সঠিক আচরণ করার দিকে পরিচালিত করে এবং অনাকা‫ঙ্খিত আচরণ করা থেকে বিরত রাখে।

২. সফলতার অভিজ্ঞতা প্রেষণা সৃষ্টির জন্য সহায়ক।

বিপরীতে, ব্যর্থতার অনুভূতি ব্যক্তির মাঝে হীনম্মন্যতা জাগায় এবং কর্মবিমুখ করে তোলে।

সে কারণে সাফল্যের অভিজ্ঞতার সুযোগ সৃষ্টি করা এবং ব্যর্থতাকে পরিহার করতে শেখানো প্রেষণা সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

কারণ যেকোনোসাফল্য বা কৃতিত্বের জন্য পুরস্কার এবং প্রশংসা ব্যক্তিকেভালো কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে তোলে।

৩. প্রেষণার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি আব্রাহাম মাশ্লোর (১৯৫৪,১৯৭১) চাহিদা তত্তে¡র সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত।

অর্থাৎ উ‪চতর চাহিদার সন্তুষ্টির পূর্বে ব্যক্তির নির্দিষ্ট মে․লিক চাহিদাগুলো নিবৃত্তি বা সš‧ষ্টিলাভ করতে হবে।

এক্ষেত্রে শিক্ষক শিক্ষার্থীর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক গুণসমূহ, যেমন- অন্যের প্রতি সংবেদনশীল হওয়া বা সহমর্মিতা প্রকাশ করা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত দক্ষতা বিকাশের ওপর জোর দিতে পারেন।

৪. প্রেষণার জ্ঞানীয় দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী শিক্ষার্থীর চিন্তাশক্তি তার প্রেষণা বা চাহিদাকে পরিচালনা করে।

শিক্ষার্থীর কোন কিছু অর্জনের জন্য অভ্যন্তরীণ প্রেষণা অর্থাৎ তাদের ব্যক্তিগত গুণাবলি এবং তারা সফলভাবে তাদের পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে- এই বিশ্বাস বিকাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষক প্রেষণা সৃষ্টি করতে পারেন।

প্রেষণারআচরণিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী শিক্ষার্থীর ষণাপ্রে হলো বাহ্যিক প্ররোচনা বা পুরস্কারের ফলাফল।

অন্যদিকে জ্ঞানীয় দৃষ্টিভঙ্গি মনে করে কোনো কিছু অর্জনের জন্য বাহ্যিক চাপকে নিরুৎসাহিত করা উচিত।

বরং শিক্ষার্থীদের সুযোগ দয়াে ও দায়িত্ব অর্পণ করা উচিত, যাতে তারা নিজের কৃতিত্ব অর্জনের লক্ষ্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

৫. প্রেষণার সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে সম্পর্কের চাহিদা হলো অন্যের সাথে সে․হার্দ্যরে বা নিরাপত্তার জন্য সম্পর্ক তৈরি করা।

বিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষার্থী যত্নশীল ও সম্মানযোগ্য আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্কের সুযোগ পায় তাদের মধ্যে বিদ্যালয়ের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব ও মূল্যবোধ তৈরি হয়।

উপরক্ত বিদ্যালয়ে এসব শিক্ষার্থীর শিখন অর্জনও ভালো হয়।

সেকারণে শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির সুযোগ সৃষ্টি করা।

 

৬. শিক্ষক মাঝে মাঝে শিক্ষার্থীদের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা ও পরামর্শ দিলে তারা অধিকতর প্রচেষ্টার সঙ্গে বিষয়টি শিখতে উৎসাহিত হবে।

শিক্ষার্থীদের কোনো বিষয়, যেমন- গণিত বা ইংরেজি বিষয়টি শিখনের ক্ষেত্রে যদি শিক্ষক শিখনের অগ্রগতি সম্বন্ধে তাদের অবহিত করেন তবে শিক্ষার্থীরা আগ্রহের সাথে বিষয়টি শিখতে অনুপ্রাণিত হয়।

৭. যেকোনো কাজের ভালো ফলাফল ব্যক্তির মাঝে আত্মবিশ্বাস, মর্যাদা ও নিরাপত্তাবোধের অনুভূতি সৃষ্টি করে যা পরবর্তীতে ভালো করার ক্ষেত্রে প্রেষণা হিসেবে কাজ করে।

৮. অনেকের ধারণা এই যে, শাস্তি শক্তিশালী প্রেষণা হিসেবে কাজ করে।

সাধারণত সমালোচনা, তিরস্কার, বহিস্কার, শারীরিক শাস্তি ইত্যাদি শাস্তিরূপে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

শাস্তি শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্বের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে বিধায় প্রেষণা সৃষ্টির ক্ষেত্রেশাস্তি পরিহার করা বাঞ্ছনীয়।

শিক্ষার্থীকে তার পছন্দসই বিষয়টি থেকে বঞ্চিত করা, যেমন- খেলার সময় তাকে খেলতে না দেয়া অথবা ক্লাসের শেষে তাকে অতিরিক্ত কোনো কাজ দেয়া ইত্যাদি।

 

সবশেষে বলা যায় যে, আমাদের সকল কর্মশক্তির মূল উৎস হলোপ্রেষণা।

প্রেষণা আমাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পরিচালিত করে।

শিক্ষাক্ষেত্রেও প্রেষণার গুরুত্ব অনেক।

শিক্ষকদের প্রেষণা সংক্রান্ত জ্ঞান শিক্ষার্থীদের চাহিদা সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনে সহায়তা করে থাকে।

 

আরও পড়ুন

DPED প্রশিক্ষণ ভাতা প্রাপ্তীতে বাধা কোথায়: কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা

বাস্তুসংস্থান , প্রকারভেদ, একটি পুকুরের বাস্তুসংস্থান, খাদ্য শৃংখল, খাদ্যজাল ও পার্থক্য

শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ বা শিশুবর্ধন :

নেপ এর ওয়েবসাইট

Comments are closed.