পেনশনের টাকার জন্য এক বছর ধরে ফাইল হাতে অফিসের বারান্দায় ঘুরছেন। অর্থের অভাবে ওষুধ কিনতে পারছেন না, স্ত্রীর চিকিৎসা বন্ধ। সন্তানের মুখে খাবারও দিতে পারছেন না। এমন বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মো. আলী আজগার ফরহাদ। তিনি ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সহরবানু বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অবসরে যান।
শুধু আজগর আলীই নন। এ অবস্থা আরও ১৩ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের। ময়মনসিংহের গৌরীপুরে দ্রুত পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমাকৃত অর্থ ও ভাতাদি প্রদানের দাবিতে বুধবার স্বজন মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষকরা।
নহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, তিনি ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর অবসরে যান। গত বছরের ৬ অক্টোবর জেলা অফিসে পেনশন ফাইল নিয়ে গেলে জমা রাখেনি। আমি এক অসহায় বাবা! দুই ছেলে আর এক মেয়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। তাদের লেখাপড়ার খরচও দিতে পারছি না। এ সময় আরও বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম।
উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মেঘলাল মণ্ডল বলেন, শিক্ষকদের কোনো পেনশন ফাইল এ অফিসে আটকা নেই। জেলা শিক্ষা অফিস থেকে অনুমোদন হচ্ছে না। অনুমোদন হলে তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পেনশন ফাইল নিষ্পত্তি করতে আমরা প্রস্তুত।- দৈনিক শিক্ষা
Comments are closed.