ঋণাত্বক ২ বা – ২ জোড় না বিজোড় সংখ্যা। এটা জানার আগ্রহ আছে অনেকের মধ্যেই। যদিও অনেকেই জানেন।
তবুও ইনোভেটিভ এ্যাজুকেশন (innovative education) সাইটের পাঠকদের জন্য একটু তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
এটি নিয়ে অনেকেই জটিলতা দেখছেন যদিও তা সহজভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব।
এখানে একটি প্রশ্ন হলো যে, নেগেটিভ বা ঋণাত্বক নম্বর জোড় বা বিজোড় হতে পারে কি-না?
এর আগে আমরা জানা একটি বিষয় উল্লেখ করছি। তা হলো- জোড় সংখ্যা।
জোড় সংখ্যা হলো সেই সকল সংখ্যা যাদের দুই দিয়ে ভাগ করা যায়। পৃথিবীতে যত জোড় সংখ্যা রয়েছে সবগুলোর সাধারণ গঠন হলো 2n। যেখানে n হলো সব সময় পূর্ণ সংখ্যা। পূর্ণ সংখ্যা হলো অসীম ঋণাত্বক হতে শুরু করে অসীম ধনাত্বক পর্যন্ত।
সুতরাং 2n অবশ্যই অসীম ঋণাত্বক হতে শুরু করে অসীম ধনাত্বক পর্যন্ত হবে।
যে যে বৈশিষ্ট্যর কারণে আমরা -২ কে জোড় সংখ্যা বলতে পারি।
১। জোড় সংখ্যাকে 2k দ্বারা প্রকাশ করা যায় । যেখানে k হলো পূর্ণ সংখ্যা।
আমরা লিখতে পারি, 2× -1 = – 2.
সুতরাং এই বৈশিষ্টটি – 2 কে জোড় সংখ্যা হিসেবে শুদ্ধি করে।
২। জোড় সংখ্যাগুলোকে ২ দ্বারা ভাগ করা যায় এবং ভাগশেষ বা অবশিষ্ট থাকে শূণ্য।
এখানে -2÷ 2 = -1. এবং এখানে ভাগশেষ থাকে শূণ্য। সুতরাং এই বৈশিষ্টটি – 2 কে জোড় সংখ্যা হিসেবে শুদ্ধি করে।
৩। কোন জোড় সংখ্যা ০, ২, ৪, ৬ এবং ৮ দ্বারা শেষ হয়। যেহেতু -২ উক্ত নিয়মে শেষ হয়েছে সুতরাং -২কে জোড় সংখ্যা বলা যায়।
৪। যে কোন দুটি জোড় সংখ্যার গুণফল জোড় সংখ্যা। এখানে -2 × -2 = 4. যা একটি জোড় সংখ্যা। সুতরাং আমরা বলতে পারি -২ একটি জোড় সংখ্যা।
৫। আমরা যদি নম্বরসমূহের সেট হিসাব করি তাহলে দেখতে পারি ঋণাত্বক নম্বরগুলো হলো- -১, -২, -৩, ……….. , -∞ আবার ধনাত্বক সংখ্যা হলো ১,২,৩,…… ∞.
এদের মাঝখানে রয়েছে শূণ্য।
জোড় নম্বর এবং বিজোড় নম্বরকে এভাবেও ভাগ করা যায়, বিজোড় হিসাবে ±1, ±3, ±5, …. এবং জোড় হিসাবে ±2, ±4, ±6, ……. এদের মাঝখানে আছে শূন্য যা আমরা জানি জোড় সংখ্যা।
সুতরাং আমরা উক্ত যুক্তিগুলোর আলোকে বলতে পারি, -২, -৪, -৬ ইত্যাদি জোড় সংখ্যা। (Negative -2, -4 are even numbers)
আপনারা আরও পড়তে পারেন এখান হতে
শুন্য কি প্রকৃত পক্ষেই বা আসলেই শুন্য ? শূন্য আসলে শূন্য নয়