Take a fresh look at your lifestyle.

শিক্ষক আটক: অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী-কন্যার রহস্যজনক মৃত্যু

0 112

যশোরের মনিরামপুরের একই দড়িতে ফাঁস দিয়ে এক শিক্ষকের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও কন্যার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার কুলটিয়া গ্রামের ফাল্গুন মন্ডলের বাড়ি রান্না ঘর থেকে একই দড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় শিক্ষক কনার মন্ডলের পাচঁ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী পিয়া মন্ডল ও মেয়ে কথা মন্ডলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, শিক্ষক কনার মন্ডলের সাথে একাধিক নারীর পরকীয়ার সম্পর্কের জেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে তার স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে একই দড়িতে গলা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

শনিবার রাতেই পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে রোববার (৮ আগস্ট) ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুজাতপুর গ্রামের ননি মন্ডলের ছেলে মশিয়াহাটী ডিগ্রি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক কনার মন্ডল স্ত্রী পিয়া ও মেয়ে কথাকে নিয়ে কুলটিয়া গ্রামে ফাল্গুন মন্ডলের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

শিক্ষক কনারের স্ত্রী ও কন্যার মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার পিয়া মন্ডলের ভাই চন্দন মন্ডল বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় ৩০৬ ধারায় মণিরামপুর থানায় মামলাটি করেন। পুলিশ শনিবার রাতেই স্বামী কনার মন্ডলকে আটক করেছেন।

আটক কনার মন্ডলকে রোববার আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। বিকেল পর্যন্ত নিহতদের লাশ যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ছিলো। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম। এদিকে মা-মেয়ের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মামলার তদন্তকারী অফিসার উপ-পরিদর্শক নেহালপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, কনার মন্ডলের সাথে একাধিক নারীর পরকীয়া রয়েছে। এসব ঘটনা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন চরম দ্বন্দ্ব চলছিল। এক পর্যায়ে হতাশা থেকে স্ত্রী পিয়া মন্ডল আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই সাথে তিন বছরের মেয়ে কথা কেউ একই পথে নিয়েছে তার মা।

পিয়ার মা শিপ্রা মন্ডল জানিয়েছেন, তার জামাই কনার মন্ডল একাধিক নারীর সাথে পরকীয়া করতো। এসব ঘটনা নিয়েই মেয়ে পিয়া প্রতিবাদ করলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো। এমনকি গত দু’বছর আগে এসব ঘটনা নিয়ে মেয়ে পিয়া আমার বাড়িতে চলে আসে। এক পর্যায়ে কনারের জোরজবরদস্তি ও অনুরোধে তাকে (পিয়াকে) আবার পুনারয় তাদের সংসারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, পিয়া পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলো। কিন্তু কোনভাবেই তাকে বাঁচতে দিলোনা কনার। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।

Leave A Reply

Your email address will not be published.