সরকার স্কুল-কলেজ খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীসহ সব স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীকে করোনার টিকাদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশে অপরাধ বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার্থী ঝরেপড়াসহ বাল্য বিবাহ বেড়েছে বলে মন্ত্রিসভার দু’জন সদস্য জানান।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের একটি বড় অংশের বয়স ৪০ বছরের নিচে হওয়ায় তাদের টিকার আওতায় নেয়া যায় কিনা সেটা নিয়ে ভাবনায় পরেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত সপ্তাহে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়’ অভিভাবকদের টিকাদানের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে।
ওই সভায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে পাঁচটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গতকাল জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
পাঁচ দফা সিদ্ধান্ত
১. আগামী ৩০ মার্চ সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি পর্যায়ের সব সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।
২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীকে টিকা দেয়ার বিষয়টি আগামী ৩০ মার্চের আগেই সম্পন্ন করবে।
৩. কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংস্কার অথবা মেরামতের প্রয়োজন হলে তা ৩০ মার্চের আগেই সম্পন্ন করতে হবে। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে গণপূর্ত অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার অথবা মেরামতের ব্যবস্থা করবে।
৪. মাঠপর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পর্যায়ক্রমে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার বিষয়টি মনিটরিং করবেন।
৫. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এসএসসি শিক্ষার্থীদের ৬০ কর্মদিবস এবং এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ৮০ কর্মদিবস পাঠদানপূর্বক সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেয়া হবে।
-সূত্র মুক্তপ্রভাত
Comments are closed.