Customize Consent Preferences

We use cookies to help you navigate efficiently and perform certain functions. You will find detailed information about all cookies under each consent category below.

The cookies that are categorized as "Necessary" are stored on your browser as they are essential for enabling the basic functionalities of the site. ... 

Always Active

Necessary cookies are required to enable the basic features of this site, such as providing secure log-in or adjusting your consent preferences. These cookies do not store any personally identifiable data.

No cookies to display.

Functional cookies help perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collecting feedback, and other third-party features.

No cookies to display.

Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics such as the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.

No cookies to display.

Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.

No cookies to display.

Advertisement cookies are used to provide visitors with customized advertisements based on the pages you visited previously and to analyze the effectiveness of the ad campaigns.

No cookies to display.

Take a fresh look at your lifestyle.

শিখনের ক্ষেত্র: বুদ্ধিবৃত্তিক বা জ্ঞানীয়, আবেগীয় ও মনোপেশীজ- ব্লুম তত্ত্ব

17,175

শিখনের ক্ষেত্র ও শিখন তত্ত্ব ব্লুম তত্ত্ব

ব্যক্তি কীভাবে শেখে (শিখনের ক্ষেত্র) সে বিষয়ে ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ বেঞ্জামিন ব্লুম এবং তাঁর সহকর্মিরা দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।

তাঁদের মতে ব্যক্তি যেভাবে শেখে তা নির্ধারণ করা অত্যন্ত কঠিন কাজ।

তবে শিখনের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্যবস্তু (Goal) নির্ধারণ করা গেলে তার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যক্তির শিখনের অগ্রগতি (Performance) পরিমাপ করা সম্ভব।

বিষয়টির ওপর বেঞ্জামিন স্যামুয়েল ব্লুম ১৯৫৬ সালে ‘Taxonomy of Educational Objectives’ নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন।

(তার এই বিখ্যাত বইটি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করুন এখান থেকে-বাশার)

তাঁর মতে একটি বিষয়বস্তু থেকে শিক্ষার্থী শুধু জ্ঞানই অর্জন করে না বরং ঐ জ্ঞান সংশ্লিষ্ট আরও অনেক দক্ষতা অর্জন করে থাকে।

শিখন শেখনো প্রক্রিয়ায়(Teaching-learning process) শিখনের উদ্দেশ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে শিক্ষকদেরএই বহুমুখী দক্ষতাগুলো বিবেচনা অপরিহার্য।

ব্লুম শিক্ষার্থীদের এই দক্ষতাগুলোকে শিখনের ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করেন।

শিখনের ক্ষেত্র

ব্লুম তাঁর গ্রন্থে শিখনের ক্ষেত্রগুলোকে তিনটি প্রধান ভাগ করেন যা নিম্নে আলোচনা করা হলো:

১. জ্ঞানীয় (Cognitive) ক্ষেত্র: জ্ঞান এবং এর বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা জ্ঞানীয় ক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্ত।

২. আবেগীয় (Affective )ক্ষেত্র: কোন বিষয় সম্পর্কে ব্যক্তির অনুভূতি, দৃষ্টিভঙ্গি বা আবেগ এক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্ত।

৩. মনোপেশীজ ( Psychomotor )ক্ষেত্র: শারীরিক দক্ষতা ( Skills ) সংক্রান্ত বিষয় মনোপেশীজ ক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্ত।

 

ব্লুম-এর ট্যাক্সোনোমি অনুসারে শিক্ষার্থীর শিখন নিম্ন স্তরথেকে উচ্চ স্তরের দিকে অগ্রসর হয়।

অর্থাৎ নিম্ন স্তরের জ্ঞান ও দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীর উচ্চ স্তরের শিখন গড়ে ওঠে।

এই স্তর নির্দেশ করার জন্য শিখন ক্ষেত্রগুলোকে আবার কতগুলো উপ-ক্ষেত্রে ভাগ করা হয়েছে।

এই ভাগগুলো শিক্ষার্থীরবিকাশ সহজ থেকে জটিল দিকে অগ্রসর হওয়াকে নির্দেশ করে।

এসংক্রান্ত ধারণা সফলভাবে প্রয়োগ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরাশিখনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের উদ্দেশ্যগুলো কতটুকু অর্জন করতে পেরেছে শিক্ষকগণ তা নিশ্চিত করতে পারেন।

ব্লুম এবং তাঁর সহকর্মীরা শিখনে তিনটি ক্ষেত্রের সাথে সম্পর্কিত কতগুলো শিখন কার্যাবলি শনাক্ত করেছেন।

 

বুদ্ধিবৃত্তিক বা জ্ঞানীয়ক্ষেত্র

জ্ঞানীয় বা বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষেত্রব্যক্তি বা শিক্ষার্থীর জ্ঞান এবং এর বিকাশের সাথে সম্পর্কিত।

সাধারণত একজন শিক্ষক শ্রেণি শিখন শেখানো কাজে শিক্ষার্থীর যেসব শিখন উদ্দেশ্যের ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকেন তার বেশির ভাগই জ্ঞানীয় ক্ষেত্রের অন্তর্ভূক্ত।

তবে এই ধরনের শিখন শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক শিখনকে নিশ্চিত করে না।

শিক্ষার্থীর সামগ্রিক বিকাশের জন্যপ্রয়োজন উ চতর চিন্তনমূলক শিখনের সুযোগ। উ চতর চিন্তন সংক্রান্ত শিখনের সুযোগ শিক্ষার্থীর মানসিক ক্ষমতা বা চিন্তার বিকাশএবং কোনও বিষয় সম্পর্কে বিস্তৃত ও সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দেয়ার দক্ষতা বৃদ্ধি করে।

ব্লুম-এর ট্যাক্সোনোমি অনুযায়ী ব্যক্তির জ্ঞানীয় ক্ষেত্রের বিকাশ নিম্নতর স্তর থেকে উচ্চতর স্তরে পর্যায়ক্রমে অগ্রসর হয়।

ব্লুম জ্ঞানীয় ক্ষেত্রের এই বিকাশকে ছয়টি উপ-ক্ষেত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।

 

১. জ্ঞান ( Knowledge ): জ্ঞান হলো কোনো বিষয়ে তথ্য জেনে প্রয়োজনে স্মরণ করার সামর্থ্য।

অর্থাৎ কোন বিষয়ের তথ্য, তত্ত্ব, সূত্র, সংজ্ঞা, নীতি ইত্যাদি মুখস্ত করে শিক্ষার্থী কতটুকু স্মরণ বা পুনর্ব্যক্ত করতে পারল তার সামর্থ্য বোঝায়।

২. বোধগম্যতা( Comprehension ): বোধগম্যতা হলো কোন কিছু বোঝার সামর্থ্য।

শিক্ষার্থী কোনো বিষয় শিখে তার অর্থ বা মূলভাব কতটুকু বুঝতে বা আয়ত্ত করতে পারল সেই সামর্থ্যকে বোঝায়।

৩. প্রয়োগ ( Application ): প্রয়োগ হলো কোনো বিষয় সম্পর্কে অর্জিত জ্ঞান বাস্তবে কাজে লাগানোর সামর্থ্য।

এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যবহারিক জ্ঞান অর্থাৎ কোনো বিষয়ের অর্জিত জ্ঞান ও বোধগম্যতাকে তারা বাস্তব ক্ষেত্রে কতটুকু কাজে লাগাতে পারছে তার সামর্থ্যকে বোঝা যায়।

৪. বিশ্লেষণ ( Analysis ): বিশ্লেষণ হলো কোনো বিষয় বা ঘটনার উপাদানগুলোকে অর্থপূর্ণভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্রভাবে ভাগ করার সামর্থ্য।

এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর শেখা কোনো বিষয়বস্তু, কোনো ঘটনা, রূপ, সূত্র, উপাদান, নীতি বা ধারণা ইত্যাদি ক্ষুদ্রক্ষুদ্র রূপে ভেঙে আন্তঃসম্পর্ক বজায় রেখে উপস্থাপন করার সামর্থ্যকে বোঝায়।

 

৫. সংশ্লেষণ ( Synthesis ): সংশ্লেষণ হলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত উপাদানের সমন্বয়ে কোনো বিষয় সম্পর্কে সামগ্রিক মত বা ধারণা বা সিদ্ধান্ত প্রদান করার সামর্থ্য।

এর মাধ্যমে কোনো বিষয়ের উপাদানগত বিন্যাস ও গঠন অংশের সমন্বয় বিবেচনা করে কোনো সিদ্ধান্তে আসার সামর্থ্যকে বোঝায়।

 

৬. মূল্যায়ন ( Evaluation  ):  বস্তুর ধারণা বা মূল্য সম্পর্কে বিচার করাই হলো মূল্যায়ন।

এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী কোন বিষয় সমালোচনা, পর্যালোচনা, যুক্তি, প্রমাণ এবং তাৎপর্যগত দিক বিচার বিশ্লেষণ করে তার মূল্য বা মান যাচাই করার সমার্থ্যকে বোঝায়।

 

 

ব্লুম-এর ট্যাক্সোনমির পরিমার্জন (Revised BloomTaxonomy) ২০০১ সালে ব্লুমের প্রাক্তন কিছু শিক্ষার্থী এবং শিক্ষা বিশেষজ্ঞগণ সম্বিলিতভাবে ব্লুমের শ্রেণিবিন্যাসের পরিমার্জন করে এর নামকরণ করেন‘A Taxonomy for Teaching, Learning and Assessment’।

 

শিখন উদ্দেশ্যের শ্রেণিবিন্যাসকে একুশ শতকের উপযোগী করে বিন্যস্ত করা হয়।

এছাড়া এর শাব্দিক (Terminology) ও গঠনগত দিকেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনয়নকরা হয়।

এই সংস্করণে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান পরিমাপের জন্য ‘বিশেষ্য’(Noun)-এর পরিবর্তে ‘ক্রিয়াবাচক শব্দ’(Action word)) বা ‘ক্রিয়াপদ’(Verb) ব্যবহারের রীতি প্রণয়ন করা হয়।

এছাড়া জ্ঞানীয় ক্ষেত্রের তিনটি উপ-স্তরের নাম এবং শেষ দুটি উপ-স্তরের বিন্যাসে পরিবর্তন করা হয়।

শুধু নাম ও বিন্যাসের পরিবর্তনই নয় বরং পরিমার্জিত এই শ্রেণিবিন্যাসে শিখন প্রক্রিয়ার ওপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়।

পূর্বের ন্যায় শিখন ক্ষেত্রের পরিমার্জিত শ্রেণিবিন্যাসের পর্যায়গুলোও নিম্নতর স্তর হতে উচ্চতর স্তর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমিকভাবে বিন্যস্ত।

 

 

১. স্মরণ বা মনে করা ( Remember ):স্মৃতি থেকে কোনো বিষয় মনে করা, চিনতে পারা বা স্মরণ করা।

২. বুঝতে পারা ( Understand  ): ব্যাখ্যা, উদাহরণ, শ্রেণিকরণ, সারসংক্ষেপকরণ, অনুমান বা তুলনার মাধ্যমে মৌখিক বা লিখিতভাবে কোনো বিষয়ের অর্থ গঠন করা।

৩. প্রয়োগ করা (Apply ): প্রাপ্ত তথ্য বা অর্জিত জ্ঞানকে কোনো নতুন পন্থায় বা নতুন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা বা সাদৃশ্যপূর্ণ ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা।

৪. বিশ্লেষণ করা ( Analyze ): কোনো বিষয়কে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে অর্থপূর্ণভাবে বিভক্ত করা এবং অংশগুলো কীভাবে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত তা পার্থক্যকরণ বা সংগঠনের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা।

৫. মূল্যায়ন করা ( Evaluate  ): নির্দিষ্ট মানদন্ড বা আদর্শের ভিত্তিতে পরীক্ষণ-নিরীক্ষণ এবং সমালোচনার মাধ্যমে কোনো বিষয়ের মূল্য যাচাই করা।

৬. সৃজন( Create ):পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বিভিনড়ব উপাদান একত্রিত করার মাধ্যমে কোনো ধারণার সামগ্রিক রূপ দেওয়া, অর্জিত জ্ঞানের সমন্বয়ে নতুন জ্ঞান বা ধারণার সৃষ্টি, কোনো নতুন উৎপাদ বা সামগ্রীর ডিজাইন করা এবং সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন প্রস্তাব।

 

আবেগীয় ক্ষেত্র

 আবেগিক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধের পরিবর্তন এবং যথাযথ গুণবিচার ও খাপ খাইয়ে নেয়ার ক্ষমতা বিকশিত হয়।

শিখনের এই ক্ষেত্রটি ব্যক্তির আবেগ বা অনুভূতির সাথে সম্পর্কিত।

মূলত শিখনের সাথে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বা মনোভাব, আবেগ, অনুভূতি, প্রশংসা করা এবং যথাযথ গুণবিচারকরার সামর্থ্যরে পরিবর্তন (তপন ও রশিদ, ২০০৫) আবেগীয় ক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্ত।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, শিক্ষার্থীরা গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা করবে এবং বাড়ি ও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চা করবে।

বিশেষ করে তাদের নেতা নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে। Krathwohl (১৯৬৪)-এর মতে শিখনের জ্ঞানীয় ক্ষেত্রের মত আবেগীয় ক্ষেত্রও পর্যায়ক্রমিক স্তরে বিভক্ত।

আবেগীয় ক্ষেত্রের ৫টি উপ-ক্ষেত্র রয়েছে, যেমন-

১. গ্রহণ করা ( Reception  ): কোনো কিছু শোনা, কোনো কিছুর প্রতি মনোনিবেশের ইচ্ছা বা কোনো কিছু সম্পর্কে ব্যক্তির সচেতনতাকে বুঝায়।

নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি বা মনোভাব কিংবা আবেগ বা অনুভূতি দিয়ে কোন কিছু গ্রহণ করা।

২. প্রতিত্রিয়া করা ( Responding  ): কোনো বিষয়ে ব্যক্তি বা শিক্ষার্থীর সক্রিয় অংশগ্রহণ বা কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার প্রতি প্রতিক্রিয়া করার প্রবণতা।

কাজের ফলাফল, প্রতিক্রিয়ায় সম্মতিদান, প্রতিক্রিয়ার ইচ্ছা বা প্রতিক্রিয়ার প্রতি সন্তুষ্টির ওপর এ বিষয়টি নির্ভরশীল।

৩. মূল্য আরোপ ( Valuing ):কোনো ঘটনা, বস্তু বা আচরণের ওপর মূল্য বা গুরুত্বারোপ করাকে বুঝায়।

এটি সাধারণ গ্রহণযোগ্যতা থেকে শুরু করে জটিল অবস্থা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে থাকে।

মূল্যারোপ ব্যক্তির মাঝে কতগুলো মূল্যবোধ অন্তঃস্থকরণের মাধ্যমে হয়ে থাকে, যা তার বাহ্যিক আচরণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

৪. সংগঠন (Organizing): বিচার ক্ষমতার মাধ্যমে প্রাধান্য অনুযায়ী বিভিন্ন মূল্যবোধগুলোকে সংগঠিত করার দক্ষতা।

এই দক্ষতার মাধ্যমে ব্যক্তি বিভিন্ন মূল্যবোধের মধ্যে দ্বন্দ্বগুলোকে সমাধানের মাধ্যমে নিজের মাঝে অনন্য মূল্যবোধের ধারণা সৃষ্টি করে।

সংগঠন দক্ষতার মাধ্যমে ব্যক্তি মূল্যবোধগুলোর মধ্যে তুলনা ও সম্পর্ক নিরূপণ করতেপারে।

৫. মূল্যবোধের অন্তঃস্থকরণ ( Internalizing values ):  এটি এমন একটি মূল্যবোধ, যার মাধ্যমে ব্যক্তি তার আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে।

শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও আবেগিক অভিযোজনের যোগ্যতা ক্সতরি করা।

 

মনোপেশীজ ক্ষেত্র

মনোপেশীজ ক্ষেত্রের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য মন ও পেশী একসাথে কাজ করে।

এটি অনেকটা হাতে কলমে কাজ করার সাথে সম্পর্কযুক্ত। একে সাধারণভাবে বলা হয় দক্ষতা।

অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের যেসব আচরণ পেশীজ ক্রিয়া বা কর্মের অন্তর্ভুক্ত এবং যার জন্য স্নায়ুপেশীজ সমন্বয় প্রয়োজন তাদেরকে মনোপেশীজ ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করা যায় (তপন ও রশিদ, ২০০৫)।

 

মানুষের দৈহিক ও মানসিক সক্রিয়তার বহিঃপ্রকাশকে মনোপেশীজ দক্ষতা নামে অভিহিত করা হয়।

শিখনের মনোপেশীজ উদ্দেশ্য দ্বারা কতগুলো বিচ্ছিন্ন শারীরিক কার্যকলাপ, প্রতিবর্তী ক্রিয়া বা ব্যাখ্যামূলক গতিকে বুঝায়, যার মাধ্যমে শারীরিকভাবে তথ্যের সংকেতকরণ হয়ে থাকে।

এখানে ব্যক্তি কোন তথ্য বা ধারণা প্রকাশের জন্য বিভিন্ন স্থুল বা সূক্ষ্ম পেশী ব্যবহৃত করে থাকে।

মনোপেশীজ ক্ষেত্রে শারীরিক গতি, সমন্বয় এবং পেশীয় দক্ষতার ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত।

এধরনের দক্ষতার বিকাশের জন্য প্রয়োজন অনুশীলন এবং এগুলো গতি, সুনির্দিষ্টতা, দূরত্ব, প্রক্রিয়া বা কোন কাজের কৌশল ইত্যাদি দ্বারা পরিমাপ করা যায়। Dave (১৯৭৪) এর মতে মনোপেশীজ ক্ষেত্রের কয়েকটি উপক্ষেত্র রয়েছে। এগুলো হচ্ছে-

১. নকলকরণ ( Imitation ):সম্পাদিত কোন কাজ দেখে তা হুবহু করার চেষ্টা করা।

২. নির্দেশনাভিত্তিক কাজ ( Manipulation ):অনুকরণ না করে নির্দেশনা অনুযায়ী কোন কাজ করা।

৩. সঠিকতা ( Precision  ): পূর্বে করা কোন কাজ নির্ভুলভাবে পুনরায় করা। কোন ক্রিয়া বা কাজকে তার অনুপাত ও সঠিকতা বজায় রেখে নিজের মত সম্পাদন করা।

৪. সমন্বয়সাধন ( Articulation ): বিভিন্ন কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন, ধারাবাহিকতা ও সুসম্পর্ক বজায় রাখা।

৫. স্বাভাবিকীকরণ ( Naturalization ):স্বল্প শ্রম (কায়িক ও মানসিক) ও স্বল্প সময়ে কোন কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করা। এই স্তরে দক্ষতা স্বভাবের অংশ হওয়ায় অতি সহজেই কাজ সম্পাদন করা যায়।

শিশুর শিখনে প্রেষণা পড়ুন এখান থেকে।

আমাদের ফেসবুক গ্রুপ

Comments are closed.