১২-ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ খ্রি. স্কুল-কলেজ খোলার পর সরকারি প্রাথমিকে চলছে নিয়মিত শিখন-শেখানো কার্যক্রম। প্রতিদিন ৯ টার মধ্যে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হয় শিক্ষকদের। এছাড়া শ্রেণি কার্যক্রম চালাতে শিক্ষকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুসরণ করতে হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঘোষিত ১৬ নির্দেশনা।
অনেক বিদ্যালয় যাদের শ্রেণি কক্ষের সংকট আছে, তাদের দুই শিফট ক্লাস নিতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষকরা পড়েছেন বিপাকে। তাদের অভিযোগ হল অধিদপ্তর ঘোষিত ক্লাসরুটিনে বিদ্যালয়ের আসার সময় নির্ধারিত থাকলেও, বিদ্যালয় ত্যাগের সময় নির্ধারণ করা নেই। দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ বিদ্যালয়ে ১২ টায় ৫ মিনিটে শ্রেণি পাঠদান শেষ হয়ে যাচ্ছে। অথচ শিক্ষকদের বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে বসে থাকতে হচ্ছে এই করোনা সংক্রমণ ভয়ের পরিস্থিতির মধ্যেও।
অনেকের মতে, এ পরিস্থিতিতে, বিশেষ করে নারী শিক্ষকদের জন্য নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশও সৃষ্টি হওয়ার আশংকাও থেকে যায়। এই দীর্ঘ ৪ ঘন্টা অলস সময় শিক্ষকদের জন্য বড়ই বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। এছাড়া শিক্ষকদের অভিযোগ হল, অনেক উপজেলায় দ্রুত ছুটি হয়ে যাচ্ছে৷ আবার কিছু উপজেলার শিক্ষকদের ৪টা পর্যন্ত বসে থাকতে হচ্ছে।
যদি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রত্যেক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে প্রতিদিনের অনুপস্থিতি-উপস্থিতির তথ্যও পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে। শিক্ষকরা বলছে, এই তথ্য ছক পূরণ করতে সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট সময় লাগে। অথচ আমাদের প্রায় ৪ ঘন্টা সময় বসে থাকতে হচ্ছে!
একজন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, “অধিদপ্তর থেকে আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শিক্ষকরা ৯ টায় বিদ্যালয়ে আসবেন ও দুপুর দেরটায় বিদ্যালয় ছেড়ে যাবেন। হ্যা, তবে প্রয়োজনে সময় পরিবর্তন করার সুযোগও শিক্ষা অফিসারদের দেয়া হয়েছে।”
এই কথার রেশ ধরে, অনেক উপজেলার শিক্ষা অফিসার শিক্ষকদের ৪টা অবধি স্কুলে থাকতে বাধ্য করছেন। ফলে শিক্ষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। আলোচনা চলেছে, বৈষম্য নিয়েও।
অনেকেই জানতে চান, শিক্ষকদের এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কেন এতটা সময় স্কুলে অবস্থান করতে হবে? এমনটাই অভিযোগ শিক্ষকদের। এ পরিস্থিতির অবসানে স্কুল ত্যাগের সময় নির্ধারণ পূর্বক অধিদপ্তরের নির্দেশনা চান দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
Comments are closed.