সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় করোনার টিকা নিশ্চিত করা হয়েছে। এবার করোনার টিকা পাচ্ছেন কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে দেশের সব বিভাগীয় কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনার টিকার আওতায় নিয়ে আসার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে কেজি স্কুলে (বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম) কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তথ্য সফট ও হার্ড কপি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠাতে হবে।
সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান এম ইকবাল বাহার চৌধুরী। তিনি বলেন, সব স্তরের শিক্ষকরা যখন টিকার আওতায় আনা হচ্ছিল তখন আমাদের মধ্যে হতাশা কাজ করছিল। শেষ পর্যন্ত সরকার আমাদেরকে টিকার আওতায় আনায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে সরকারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী ও আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের পর এবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরাও করোনার টিকা পাচ্ছেন বলে সোমবার (১ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (মাউশি) এক আদেশে নতুন করে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, আগামী ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে। তার আগে ২২০টি আবাসিক হলের ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে। তার জন্য ইতোমধ্যে ইউজিসির মাধ্যমে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ২২০টি আবাসিক হলের টিকার চাহিদা চাওয়া হয়েছে। এটা পাওয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে এবং নিকটস্থ কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবে।
মন্ত্রী জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রাথমিকের ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষক টিকাগ্রহণ করেছেন। বাকিরা দ্রুত সময়ের পেয়ে যাবেন। তিনি জানান, সুরক্ষা লিংকে শিক্ষক ক্যাটাগরি যুক্ত হয়েছে। এর আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সব শিক্ষক-কর্মচারীরও টিকা পাবেন। সেজন্য সারাদেশে প্রশাসনের মাধ্যমে তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
Comments are closed.