Take a fresh look at your lifestyle.

ভিন্নমতের ছড়াছড়ি,,, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাহলে খুলছে কবে?

233

দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় স্কুল-কলেজ খোলার দিনক্ষণ নিয়ে দোটানায় পড়েছে শিক্ষা প্রশাসন। এমন পরিস্থিতির সৃষ্টির ফলে এখনই স্পষ্টভাবে কিছু বলতেও পারছে না শিক্ষা প্রশাসন।

শিক্ষা প্রশাসনের একাধিক সূত্র বলেছে, ৩০ মার্চ আসতে এখনো ৮ দিন বাকি। এই সময়টুকু তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে চায়। তারপরও যদি দেখা যায়, সংক্রমণ বেড়েই চলেছে তখন আরো ১৪ দিনের ছুটি বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত নেয়া হবে। ১৪ এপ্রিল থেকে রমজান শুরু হওয়ায় শিক্ষাপঞ্জিকা অনুযায়ী এমনিতেই এক মাসের বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরফলে ঈদের পরই অর্থাৎ মধ্য মে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করতে পারে প্রশাসন।

এদিকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার কারণে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দশ দিনের সাধারণ ছুটি হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান।

তবে স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নানের বরাতে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হতে পারে বলে যে তথ্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
রোববার (২১ মার্চ) কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ছুটির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে স্বাধীনতা দিবস ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশে অনুষ্ঠান চলছে, মানুষ উদযাপন করছে যথাযোগ্য মর্যাদায়। আমাদের যদি ছুটি প্রসঙ্গে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তাহলে হয়তো অনুষ্ঠান শেষে নেওয়া হতে পারে।

অন্যদিকে, জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৪৪২ হিজরি সালের পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে ২৯ মার্চ দিবাগত রাতে। শবে বরাতের পরের দিন সরকারি ছুটি থাকে। অর্থাৎ ৩০ মার্চ ছুটি। ফলে ৩০ তারিখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা খুলছে না এই অনেকটাই নিশ্চিত।

গত ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে শবে বরাতের তারিখ ঘোষণা করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

সভা শেষে জানানো হয়, ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় দেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এজন্য ১৫ মার্চ রজব মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। ১৬ মার্চ থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। সেই হিসেবে আগামী ২৯ মার্চ সোমবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবেবরাত পালিত হবে।

গত বছর ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর ১৬ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। প্রথম দফায় গত বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ করা হয় স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। নির্ধারিত ছুটি শেষ হওয়ার আগেই বাড়ানো হয় ছুটি। করোনা সংক্রমণ বন্ধ না হওয়ায় এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বেড়েছে ধাপে ধাপে।

সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৩০ মার্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়ার কথা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে খোলা হবে আবাসিক হলগুলো। আর প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের টিকা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা পেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে গত ফেব্রুয়ারি থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ।

এদিকে, এখন কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সামনে বড় বিপদের শঙ্কা দেখছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশীদ আলম। সবাইকে সতর্ক করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এখন যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগই তরুণ, আক্রান্তদের অনেককেই আইসিইউতে ভর্তি করতে হচ্ছে। গেল দুই মাস আমরা স্বস্তিতে ছিলাম, তাই এখন আমরা কোনো কিছু মানছি না। সামনের দিকে আমরা আরো বড় বিপদে পড়তে যাচ্ছি, যদি আমরা স্বাস্থ্যবিধি না মানি।

এমন পরিস্থিতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তা এখনো নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না।

source: sonalinews

Comments are closed.