Take a fresh look at your lifestyle.

বাংলাদেশি তরুণীকে যৌন নির্যাতন : ভারতে টিকটক হৃদয়সহ গুলিবিদ্ধ ২

81

বাংলাদেশি তরুণীকে ভয়াবহ যৌন নির্যাতনের দায়ে ভারতের বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার হওয়া ছয়জনের মধ্যে দু’জন পালানোর সময় পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছে।

বেঙ্গালুরুর পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে তদন্তের জন্য পুলিশ অভিযুক্তদের নিয়ে অপরাধস্থলে যায়। সেখানে টিকটক হৃদয় নামে পরিচিত রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ও আরও একজন পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি চালায় এবং তারা পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়।
বাংলাদেশি এক তরুণীকে যৌন নির্যাতন করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পরার পর বৃহস্পতিবার দুজন নারীসহ মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করে বেঙ্গালুরু পুলিশ।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিও ক্লিপ ও অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন ও অন্যান্য অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ‘এখন পর্যন্ত যা তথ্য পাওয়া গেছে, এরা সকলেই একই গ্রুপের সদস্য এবং বাংলাদেশ থেকে এসেছে। অর্থনৈতিক পার্থক্যের কারণে অপরাধীরা ভিকটিমের ওপর নির্যাতন চালায়। ভিকটিমও বাংলাদেশি এবং ভারতে পাচারের জন্য তাকে আনা হয়েছিল।’
ভিকটিম এখন ভারতের অন্য একটি প্রদেশে রয়েছেন বলে জানায় পুলিশ। একটি টিম তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। তাকে পাওয়া গেলে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তার জবানবন্দি নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, টিকটক হৃদয়ের মা ও মামা পুলিশকে জানায়, উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের কারণে চার মাস আগে তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। এরপর থেকে বাসার কারো সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল না।
ডিসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, কৌশলে টিকটক হৃদয়ের মামার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে হৃদয়ের ভারতীয় নম্বরে যোগাযোগ করা হয়। তখন সে জানায়, গত তিন মাস আগে ভারতে গেছে। যৌন নির্যাতনের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেই ঘটনা ঘটে ১৫ থেকে ১৬ দিন আগে।
হৃদয় জানায়, যৌন নির্যাতনের ঘটনায় হৃদয় ও তার কয়েকজন বন্ধু জড়িত ছিল। ঘটনাটি ঘটে ভারতের কেরালায়। ওই ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে আগে থেকেই তার পরিচয় ছিল বলে জানায় হৃদয়।

তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার আরও বলেন, হৃদয়ের দেয়া তথ্যমতে তরুণীর পরিবারের সন্ধান পেয়েছি। পরিবার তরুণীর পরিচয় নিশ্চিত করেছে। পরিবারের সঙ্গে মেয়েটির গত দুই বছর ধরে কোনো যোগাযোগ ছিল না।

ডিসি শহিদুল্লাহ আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা করা হচ্ছে এরা একটি সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্র। যারা প্রেমের ফাঁদে ফেলে অসহায় ও বিদেশে গমনে ইচ্ছুক নারীদের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাচার করত।

সুত্রঃ দৈনিক শিক্ষা

Comments are closed.