Customize Consent Preferences

We use cookies to help you navigate efficiently and perform certain functions. You will find detailed information about all cookies under each consent category below.

The cookies that are categorized as "Necessary" are stored on your browser as they are essential for enabling the basic functionalities of the site. ... 

Always Active

Necessary cookies are required to enable the basic features of this site, such as providing secure log-in or adjusting your consent preferences. These cookies do not store any personally identifiable data.

No cookies to display.

Functional cookies help perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collecting feedback, and other third-party features.

No cookies to display.

Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics such as the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.

No cookies to display.

Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.

No cookies to display.

Advertisement cookies are used to provide visitors with customized advertisements based on the pages you visited previously and to analyze the effectiveness of the ad campaigns.

No cookies to display.

Take a fresh look at your lifestyle.

বিট লবণ- উৎস, উপাদান, উপকারিতা ও অপকারিতা [বিশদ আলোচনা]

8,444

বিট লবণ কী?

বিট লবণ যাকে বলা হয়ে থাকে ‘রক সল্ট’ কিংবা ব্ল্যাক সল্ট Black salt. যার আরেকটি নাম সুলেমানী সলন; (উর্দু: نمک کالا, নেপালি: বিরে নুন, হিন্দী: কালো salt, মারাঠি: কালাম মথ; গুজরাটি: সংচল, তামিল: இந்துப்பு, মালয়ালাম: ഇന്തുപ്പ്) এক ধরনের খনিজ সিল। সাধারণত বিট লবণ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল এর নিকটবর্তী হিমালয় লবণ সমৃদ্ধ থেকে মাটিতে নিচের পাথর আকারে উত্তোলন করা হয়। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত ও নেপালে এই লবন খনি আছে।

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার রন্ধনপ্রণালীতে বিট লবণ খুব পরিচিত নাম। এটি কালো লবণ বা সুলেমানি লবণ নামেও পরিচিত। চাটনি, সালাদ, ফল, জুস, বোরহানি, ফুচকা, রাইতাসহ প্রায় সব ধরনের ভারতীয় ও চাইনিজ খাবারে বিট লবণের ব্যবহার রয়েছে।

 

বিট লবণের উপাদান

সাধারণ লবনের মত এটাতেও সোডিয়াম ক্লোরাইড থাকে যা টক ভাব আনতে সাহায্য করে তবে, এর সাথে আরো যুক্ত হয় আয়রন সালফাইড যা এর ধুসর রং আনতে সাহায্য করে আরেকটা হলো হাইড্রোজেন সালফাইড(পচা ডিমের মত গন্ধ) ,যা এর কটু গন্ধ আনার ক্ষেত্রে দায়ী।

আর সাধারণ লবণের সাথে দোষ-গুণ বলতে তেমন কিছু নেই তবে, এটাকে যাদের হাই ব্লাড প্রেসার আছে তাদের জন্য ভালো বলা হয় কারণ, এখানে সোডিয়াম এর মাত্রা কম থাকে ! তবে, এখনকার বিট লবণে এই সোডিয়াম নাকি নিয়ন্ত্রণে রাখেনা সাধারণ লবণের মতই থাকে কাজেই, হাই ব্লাড প্রেসার মানুষদের জন্য খুব একটা সুবিধা করতে পারবেনা !

সুতরাং বলা যায়, বিট লবণের প্রধান উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে সোডিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম সালফেট, লোহা, ম্যাগনেসিয়াম, ফেরিক অক্সাইড, ফেরাস সালফেট ও ফ্লুরাইড ইত্যাদি।

 

ফ্লুরাইড বিট লবণ

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বিট লবণে প্রায়  প্রতি মিলিয়নে রয়েছে আড়াইশ শতাংশ পরিমাণ ফ্লুরাইড। এটি পটাশিয়াম বা সোডিয়াম যেকোনো ফ্লুরাইড হতে পারে। যা প্রচুর টক্সিন সমৃদ্ধ।
৪.৯ গ্রাম অর্থাৎ, প্রতি চা চামচ বিট লবণে রয়েছে ০.৫৬ গ্রাম ফ্ল‍ুরাইড। ফ্লুরাইড থাইরয়েড গ্রন্থি, হাড়, জয়েন্টের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এটি এমন একটি উপাদান যা সীসা, পারদ ও রেডন গ্যাসের (radon gas) মতোই বিষাক্ত।

ফ্লুরাইড কি
দাঁত ও হাড়ের গঠনে ফ্লুরাইড প্রয়োজনীয় উপাদান। মানবদেহে ফ্লুরাইডের সহনীয় মাত্রা ২ থেকে ৩ মিলিগ্রাম। কিন্তু তা যদি ৪ মিলিগ্রামের ওপরে চলে যায় তাহলে তা বিষে পরিণত হয়। খাবার পানিতেও ফ্লুরাইড  রয়েছে। এক লিটার পানিতে ০.৫ থেকে ১.০ মিলিগ্রাম ফ্লুরাইড থাকে। এর বেশি মাত্রায় থাকলে তা দূষণ পর্যায়ে চলে যায়।

শরীরে ফ্লুরাইডের অতিরিক্ত মাত্রা ফ্লুরোসিস নামের রোগ তৈরি করে। ফলে  ওজন হ্রাস পায়, ত্বকে প্রদাহ দেখা দেয়, দাঁতের ক্ষতি হয় ও চুল পড়া থেকে শুরু করে নানা সমস্যা দেখা দেয়।

 

বিট লবণের যত উপকারিতা:

বিট লবণের অনেক উপকারিতা রয়েছে যা সাধারণভাবে আমরা অনেকেই জানি না। এই লবণ বা নুন আপনার জন্য অনেক উপকার বয়ে আনতে পারে, পারে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দিতে।

বিট নুন সহজেই বমি বমিভাব, অম্লতা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। বিট নুন অম্লতা দূর করতে পারে। এ ছাড়া বিট লবণ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, হতাশা এবং পেট সম্পর্কিত অনেক সমস্যা দূর করতে কার্যকর বলে বিবেচিত হয়।

নিজের অজান্তেই শরীরের অনেক রোগ থেকে মুক্তি মেলে। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিট লবণ অনেক মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। অ্যাসিডিটি বা কোষ্ঠকাঠিন্যতা ও বমি বমি ভাবের মতো সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।

ভারতের আয়ুর্বেদ চিকিৎসক আবরার মুলতানির মতে, বিট লবণ বা কালো লবণ গ্যাসের সমস্যা দূরে অনেক সহায়তা করে। সেই সঙ্গে কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, অবসাদ এবং পেট সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এই লবণ। এ জন্য প্রতিদিন সকালে গরম পানিতে বিট লবণ মিশিয়ে খাওয়ার ফলে শরীর সুস্থ থাকবে।

খাবারকে চটজলদি সুস্বাদু করলেও বিট লবণের রয়েছে কিছু ক্ষতিকর প্রভাব, যেমন – এই লবণ, যাদের হাই ব্লাড প্রেসার আছে তাদের জন্য ভালো বলা হয় কারণ, এইখানে সোডিয়াম এর মাত্রা কম থাকে ! তবে, এখনকার বিট লবণে এই সোডিয়াম নাকি কম পরিমানে থাকে না,  সাধারণ লবণের মতই থাকে। কাজেই, হাই ব্লাড প্রেসার মানুষদের জন্য বিট লবন খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না।

 

. ফ্যাট পোড়াতে সহায়ক

আমাদের দেহে উপস্থিত বিপজ্জনক ব্যাকটিরিয়া দূর করে এবং দেহে বর্ধিত ফ্যাট পোড়াতে সহায়ক। শুধু এটিই নয়, এটি খাবারের স্বাদকে বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে। আয়ুর্বেদ বিশ্বাস করেন যে প্রতিদিন সকালে সকালে উত্তপ্ত জলে বিট নুন মিশ্রণ শরীর সুস্থ রাখে।

. হাড় শক্ত হয়

বিট লবণ অনেক পুষ্টি এবং খনিজ সমৃদ্ধ। এটি নিয়মিত খাওয়া হলে শরীরের হাড় শক্ত হয়ে যায় ।

. পেটের গ্যাস অন্যান্য সমস্যা দূর করে

খাদ্য পরিপাকজনিত সমস্যা, পেটে গ্যাস হওয়া, বুক জ্বালাপোড়া করা এমনকি কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে বিট লবণ।

. ডায়বেটিস রোগীদের জন্য উপকারী

চডায়বেটিস রোগীদের সাদা লবণের চেয়ে বিট লবণের বেশি ব্যবহার করা উচিত্‍। বিট নুন শরীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে কাজ করে এবং তারা আরও সুস্থ বোধ করবে।

. বুক জ্বালাপোড়া করা কমায়

এটি আপনার বুক জজ্বালাপড়া কমাতে সাহায্য  করে।

. অল্প বয়স্ক শিশুদের জন্য সবচেয়ে উপকারী

ছোট বাচ্চাদের জন্য বিট নুনকে সবচেয়ে উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি বুক থেকে বদহজম এবং কফ জমে সরিয়ে দেয়। আপনার শিশুর খাবারে প্রতিদিন খানিকটা বিট লবণ যুক্ত করুন, কারণ এটি পাকস্থলিকেও ঠিক রাখে এবং ক্লেদ ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাবে।

. হজম শক্তি বা  খাদ্য পরিপাকজনিত সমস্যা দূর করতে পারে।

বিট নুন আমাদের হজম শক্তি বাড়িয়ে তুলতে পারে। উপরন্তু, এটি সেরেটোনিন হরমোনও বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা আমাদের শিথিল রাখতে সহায়তা করতে পারে।

. ক্ষুধাভাব কমায়

ওজন কমানোর চেষ্টায় থাকলে বিট লবণ ভালো একটি সহায়ক হতে পারে। ঘনঘন ক্ষুধাভাব কমানোর জন্য বিট লবণ উপকারি।

. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

সাদা লবণ যেখানে রক্তচাপ বৃদ্ধির জন্য দায়ী, সেখানে বিট লবণ উচ্চরক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে। এমনকি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে সাদা লবণের পরিবর্তে বিট লবণ খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা।

১০. ঘুমের সমস্যা কমায়

রাতে ভালো ঘুম না হলে অথবা ইনসমনিয়ার সমস্যা থাকলে নিয়মিত বিট লবণ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ঘুমের সমস্যা মূলত দেখা দেয় শরীরে মেলাটোনিনের মাত্রার তারতম্য দেখা দিলা। বিট লবণ এই মেলাটোনিনের মাত্রাকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে।

১১. ঠাণ্ডার সমস্যায় উপকারি

সাইনাসের সমস্যা, শুকনা কাশি, গলাব্যথ্যা কিংবা ঠাণ্ডা সর্দির সমস্যায় গরম পানির সঙ্গে বিট লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে উপকার পাওয়া যাবে।

১২. ক্লান্তি দূর করে

কর্মব্যস্ত সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে এক গ্লাস পানি বিট লবণ ও এক টুকরো লেবু মিশিয়ে পান করুন। দেখবেন মুহূর্তেই চাঙ্গা বোধ করছেন।

১৩. ত্বকের সুরক্ষায় বিট লবণ

স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা তো জানানো হলো, এবার জানুন বিট লবণ ব্যবহারে ত্বকের উপকারিতা। এই লবণ ত্বকের উপরিভাগের ময়লা ও মরা চামড়া দূর করতে প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে। এছাড়া, বন্ধ রোমকূপ খুলে ভেতরের ময়লা দূর করে ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এনে দিতেও দারুণ কার্যকর বিট লবণ।

 

বিট বা কালো লবণের উপকারিতা :

অনেকেই আছেন অনাকাঙ্ক্ষিত বেড়ে যাওয়া ওজন কমাতে চান। তাদের জন্য এই লবণ খুব সহায়ক। এই লবণে উপস্থিত খনিজগুলো অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে থাকে। ফলে শরীরে উপস্থিত বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। এছাড়াও এ লবণে সোডিয়ামের উপাদান বেশি রয়েছে। তাই শরীর সতেজ ও চাঙা রাখতে বিট লবণ অনেক উপকারী।

হজমজনিত সমস্যা এবং শরীরের কোষে পুষ্টি সরবরাহ করে বিট লবণ। এমনকি স্থূলতা নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে থাকে। পুষ্টি এবং খনিজ সমৃদ্ধ হওয়ায় নিয়মিত খাওয়ার ফলে শরীরের হাড় অনেক মজবুত থাকে।

এদিকে যারা সুগারের রোগী তাদের সাদা লবণের পরিবর্তে বিট লবণ খাওয়া উচিত। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে বিট লবণ।

 

বিট লবণের ক্ষতিকর দিক

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বিট লবণে প্রায়  প্রতি মিলিয়নে রয়েছে আড়াইশ শতাংশ পরিমাণ ফ্লুরাইড। এটি পটাশিয়াম বা সোডিয়াম যেকোনো ফ্লুরাইড হতে পারে। যা প্রচুর টক্সিন সমৃদ্ধ। ৪.৯ গ্রাম অর্থাৎ, প্রতি চা চামচ বিট লবণে রয়েছে ০.৫৬ গ্রাম ফ্ল‍ুরাইড। ফ্লুরাইড থাইরয়েড গ্রন্থি, হাড়, জয়েন্টের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।

এছাড়াও এটি রক্তস্বল্পতা, রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি ও পাকস্থলির ঝিল্লির ক্ষতি করতে পারে। এটি এমন একটি উপাদান যা সীসা, পারদ ও রেডন গ্যাসের (radon gas) মতোই বিষাক্ত। দাঁত ও হাড়ের গঠনে ফ্লুরাইড প্রয়োজনীয় উপাদান। মানবদেহে ফ্লুরাইডের সহনীয় মাত্রা ২ থেকে ৩ মিলিগ্রাম। কিন্তু তা যদি ৪ মিলিগ্রামের ওপরে চলে যায় তাহলে তা বিষে পরিণত হয়। খাবার পানিতেও ফ্লুরাইড  রয়েছে। এক লিটার পানিতে ০.৫ থেকে ১.০ মিলিগ্রাম ফ্লুরাইড থাকে। এর বেশি মাত্রায় থাকলে তা দূষণ পর্যায়ে চলে যায়। শরীরে ফ্লুরাইডের অতিরিক্ত মাত্রা ফ্লুরোসিস নামের রোগ তৈরি করে। ফলে  ওজন হ্রাস পায়, ত্বকে প্রদাহ দেখা দেয়, দাঁতের ক্ষতি হয় ও চুল পড়া থেকে শুরু করে নানা সমস্যা দেখা দেয়।

অনেকের ধারণা, সাধারণ লবণের চেয়ে বিট লবণে সোডিয়াম কম থাকে বলে তা হয়তো উচ্চরক্তচাপ কমায় ও শরীরের পক্ষে ততটা ক্ষতিকর নয়।
ভারতের দিল্লির ফ্লুরোসিস গবেষণা ও পল্লী উন্নয়ন ফাইন্ডেশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে বিট লবণ খাওয়ায় ভারতে ফ্লুরাইড বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় ৬৬ মিলিয়নেরও বেশি।

এই গবেষণার পর প্রতিষ্ঠানটি বিট লবণ ও বিট লবণ দিয়ে তৈরি স্ন্যাকস বা আয়ুর্বেদিক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়।

সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক ২.৩ গ্রামের কম ও পঞ্চাশোর্ধ্বদের ১.৫ গ্রাম লবণ খাওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে লবণে যদি ফ্লুরাইড থাকে তাহলে তা হাড় ও জয়েন্টের ব্যথা সৃষ্টি করে, রক্তস্বল্পতা, রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি ও পাকস্থলির ঝিল্লির ক্ষতি করতে পারে।

 

Comments are closed.