১২ বছর ধরে শিক্ষকতা করেছেন জাল সনদে
কুড়িগ্রাম জেলা শহরের মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজে ১২ বছর ধরে জাল সনদ দেখিয়ে শিক্ষকতা করে আসছেন একজন শিক্ষিকা। প্রদর্শিত তার সনদটি ছিলো পঞ্চম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার। উক্ত নিবন্ধনের সূত্রে জেলা শহরের স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানে সমাজ বিজ্ঞানের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। পরবর্তীতে এমপিওভুক্ত হয়ে তিনি নিয়মিতভাবে বেতনও তুলছিলেন। অবশেষে একযুগ পর প্রকাশ হলো, তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদই জাল।
গত ৮ আগস্ট বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) তাদের ওয়েব সাইটে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জনাব খাজা শরিফ উদ্দিন আলী আহমেদ রিন্টু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, অভিযুক্ত ওই কলেজ শিক্ষকের নাম মোছাম্মত ইফফাত আরা সরকার। তিনি মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের স্নাতক পর্যায়ের সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত।
এনটিআরসিএ’র বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের সনদটি সঠিক নয়। সনদটি জাল এবং ভুয়া। উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে প্রকৃত সনদধারীর নাম ও ঠিকানাও উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ের বিষয়টি দালিলিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। উক্ত ভুয়া সনদধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। আরও জানা যায়, বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্ট থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসিকে পাঠানো হয়েছে।
কুড়িগ্রামের সেই মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খাজা শরিফ উদ্দিন আলী আহমেদ রিন্টু বলেন, এনটিআরসিএ’র পত্রের ব্যাপারে আমরা অবগত হয়েছি। এ বিষয়ে মিটিং করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Comments are closed.