ডিপিএড শিক্ষার্থীদের ভাতা আটকে রেখেছে হিসাব রক্ষণ অফিস! আন্দোলনের ডাক
করোনাকালে বিশ্বব্যাপী আর্থিক ঝড় শুরু হয়েছে। অধিকাংশেরই আয়ের পথ সংকীর্ণ হয়ে গেছে। এ সমস্যা মোকাবিলার জন্য সরকার নানামূখী কার্যতক্রম শুরু করেছে।
করোনার প্রকোপ থাকলেও থেমে নেই শিক্ষার নানামূখী উদ্দ্যেগ। পিটিআইগুলো বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করছে শিক্ষার্থী শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগের এবং তাদের মান উন্নয়নের।
প্রশিক্ষণার্থীরা টিভির সামনে বসে থেকে সংসদ টিভির ক্লাস দেখছেন, ডায়রি লিখছেন, পর্যরবেক্ষণ নোট রাখছেন, রিফ্লেক্টিভ জার্নাল লিখেছেন, পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করছেন, মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার খোঁজ রাখছেন এবং ন্যাপ কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে যে সকল কাজ বাস্তবায়নের উদ্দ্যেগ নেয়া হয়েছে তা সমাপ্ত করছেন।
এক কথায় করোনার মতো পরিস্থিতিতেও শিক্ষার্থী শিক্ষকরা মূলত ন্যাপের নির্দেশনা সব পালন করে আসছেন। নিয়ম অনুযায়ী ৩০০০/- টাকা মাসিক ভাতা প্রদান করার কথা। কিন্তু বেশ কিছু পিটিআই করোনাকালীন ৬ মাসের ভাতা প্রদান করলেও কোন কোন পিটিআইতে তিন মাসের ভাতা প্রদান করতে চাইছে।
এর মধ্যে গত ২৪-৬-২০২০ তারিখে নেত্রকোনা পিটিআই ৬মাসের ভাতা ও কীট এলাউন্স বাবদ ১৯৭৫০ টাকা নগদ শিক্ষার্থীদের হাতে প্রদান করেছে। জামালপুর পিটিআইতে ৬/০৭/২০২০তারিখে দিবে। নারায়নগন্জ পিটি আইতে ২০২০-২১ এর ৬ মাসের ভাতা আর ইউনিফর্ম এর টাকা দিয়েছে ।
পাবনার পিটিআই এর সুপার মহোদয় এর সঙ্গে ২০২০-২১শিক্ষাবর্ষের এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ২৫ থেকে ৩০ জন প্রশিক্ষনার্থী শিক্ষক নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। জানুয়ারি থেকে জুন মাসের বরাদ্দকৃত সম্মানী ভাতার ব্যাপারে কোন সুরাহা না হওয়ায় নেতৃবৃন্দ স্যার কে আগামীকাল থেকে ক্লাস বর্জনের ঘোষণার কথা জানিয়ে দেন।
আগামী ৯ জুলাই ২০২০ তারিখের মধ্যে ভাতার ব্যবস্থা না করা হলে তারা পিটিআই ঘেরাও কর্মসূচি দেবেন বলে জানান এবং পিটিআইতে তালা ঝুলিয়ে দেবেন। ডিপিএড এর ভাতা বঞ্চিত সকল পিটিআই কে একই প্লাটফর্মে থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
আলীগজ্ঞ পিটিআইতে আগামি দিন ৫/৭/২০২০ থেকে দিবে ৬ মাসের। গতকাল মিটিংয়ে সিদ্ধ্যান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, নাটোর হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে জানান, আমরা দিতে পারবোনা আমাদের রাজশাহী বিভাগের কর্মকর্তা ( ডিসিএ) দিতে নিষেধ করেছেন। বিলে কটে করেন।
রাজশাহীর বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেবনাথ বলেন-ঢাকাতে কথা বলা হয়েছে। সেখান থেকে সাধারণ ছুটির সময় প্রশিক্ষণার্থীরা টাকা পাবেনা। অন্য পিটিঅইয়ে দেওয়া হয় তাহলে আমরাও দেব। আর যদি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত না হয় তাহলে যেসব প্রশিক্ষণার্থীকে টাকা দেওয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে কেটে নেওয়া হবে।
সংবাদটি দৈনিক মুক্ত প্রভাত পত্রিকা থেকে নেয়া হয়েছে
এ সংক্রান্ত নিউজ ২৪ এর ভিডিও ফুটেজ