Take a fresh look at your lifestyle.

সময়মতো পাঠ্যবই না দেয়ায় কালোতালিকায় ১৪ মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান

57

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাঠ্যবই দিতে না পারায় ১৪টি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোনোটি আজীবন আবার কোনোটি এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত বই ছাপার কাজে যুক্ত হতে পারবেন না।

এছাড়াও আর্থিক জরিমানার মুখে পড়তে হবে এসব প্রতিষ্ঠানকে। জামানত হিসেবে পারফরম্যান্স গ্যারান্টি (পিজি) ১০ শতাংশ টাকা থেকে শাস্তির ধরন অনুযায়ী কর্তন করা হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব জানা গেছে।
জানা যায়, ২০২১ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যে বই ছাপার কাজ পাওয়া মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে এই প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত সময়ের তিন মাস পরও বই দিতে পারেনি। এছাড়াও নিম্নমানের কাগজ দিয়ে বই ছাপায় একাধিক সময় তাদের বই বাতিল করা হয়।

কালো তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- সূত্রাপুরের মেসার্স রেজা প্রিন্টার্স, মেসার্স মিলন প্রিন্টিং প্রেস, নিহাল অফসেট প্রিন্টিং প্রেস, সিফাত প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনস, মিলেনিয়াম প্রিন্টার্স, খন্দকার মুদ্রণালয়, বাংলাবাজারের টাইমস প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনস।

এছাড়াও গেন্ডারিয়ার মানিক প্রিন্টিং প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনস, নারিন্দার দি ইউনিক প্রিন্টার্স অ্যান্ড প্যাকেজার্স, শ্যামপুরের নাইমা আর্ট প্রেস ও রংপুর সদরের মেসার্স কমটেক কম্পিউটার অ্যান্ড প্রিন্টার্স।

এনসিটিবির কর্মকর্তারা বলছেন, এসব প্রতিষ্ঠান আগামী এক থেকে তিন বছর, কেউ কেউ আজীবন নিষিদ্ধ থাকবে। একই সঙ্গে আর্থিক জরিমানা তাদের মূল বিল থেকে কেটে রাখা হবে।
জানতে চাইলে এনসিটিবির বিতরণ নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. জিয়াউল হক বলেন, সময়মত বই না দেয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও আর্থিক জরিমানা হিসেবে জামানত হিসেবে রাখা পিজি থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ টাকা কেটে নেয়া হবে। তারা নিষিদ্ধ সময়ে এনসিটিবির কোনো কাজে অংশ নিতে পারবেন না।

এনসিটিবির একটি সূত্র বলছে, টাঙ্গাইল অফসেট প্রেস নামে একটি প্রতিষ্ঠান এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত বই ছাপার কাজ করেছে। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের চার মাস পরও তারা বই দিতে পারেনি। এ প্রতিষ্ঠানকে ২০১৮ সালেও কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। কিন্তু ফাঁকফোকর দিয়ে তারা আবার কাজ নেয়। নির্ধারিত সময়ের তিন মাস পরও বই দিতে পারেনি আরও পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। যাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের মোট ৪ কোটি ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ২২৬ জন শিক্ষার্থীর জন্য বিনামূল্যের বই ছাপা হয়েছে ৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬২ হাজার ৩৯৪টি। এবার প্রাক্কলিত দরের চেয়ে অস্বাভাবিক কম দামে কাজ নিয়েছিলেন মুদ্রণকারীরা।

এজন্য আশঙ্কা করা হয়েছিল এবার নিম্নমানের কাগজে বই ছাপাতে পারেন মুদ্রণকারীদের অনেকেই। বছরের শেষ সময়ে এসে এ রকম কিছু ঘটনা ধরাও পড়েছিল। এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে সাড়ে ছয় লাখের বেশি বই এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় তিন হাজার মেট্রিক টন কাগজ বাতিল করা হয়েছিল।-জাগো নিউজ

Comments are closed.