Take a fresh look at your lifestyle.

পরকীয়ায় বাধার জেরে হামলা : আহত শিক্ষকের মৃত্যু

178

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় প্রভাষক মো. শাহিনুর রহমানকে (৩২) হত্যার চেষ্টা করেন সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবক। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

নিহত মো. শাহিনুর রহমান ধামরাই উপজেলার বেগম আনোয়ারা গার্লস কলেজের শিক্ষক ছিলেন। তিনি সাটুরিয়া উপজেলার মালসী গ্রামের মৃত শুকুর আলীর পুত্র।

নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মালশী গ্রামে সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবককে পরকীয়ায় বাধা দেন শিক্ষক শাহিনুর ইসলাম। এরই জের ধরে গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ওই শিক্ষক দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে একই গ্রামের আব্দুস সামাদের পুত্র মো. সাদ্দাম হোসেন (২৮) রাস্তায় তার গতিরোধ করেন। তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে কলেজ শিক্ষক শাহিনুরের পেটে ও বুকে বেশ কয়েকটি আঘাত করেন। শেষে তার গলায় ছুরি দিয়ে জবাই করার চেষ্টা করেন।

 

আহত শাহিনুর ওই রাস্তার পাশে পানির ডোবায় পড়ে গিয়ে চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন। প্রতিবেশীরা মুমূর্ষু শাহিনুরকে সাটুরিয়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন ডাক্তাররা।

 

 

এ ঘটনায় ওই রাতেই উত্তেজিত শতাধিক গ্রামবাসী সাদ্দামের বাড়ি ঘেরাও করে রাখেন। থানা পুলিশ অভিযুক্ত সাদ্দামকে গ্রেফতার করে মানিকগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল আদালতে পাঠালে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সাদ্দাম হোসেন মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে আটক আছেন।
এদিকে মৃত্যু সংবাদ গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষকের লাশ একনজর দেখার জন্য ভিড় জমান গ্রামবাসী। তারা জানান, অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন স্থানীয় এক গৃহবধূর সঙ্গে দীর্ঘদিন পরকীয়ার জের ধরে অনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল। এ কাজে বাধা দেওয়ায় কলেজ শিক্ষক শাহিনুরের ওপর ইতোপূর্বেও একবার হামলা করেছিল সাদ্দাম।

 

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাটুরিয়া থানার ওসি মো. আশরাফুল আলম জানান, ছুরিকাঘাতে কলেজ শিক্ষককে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত সাদ্দামকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। শিক্ষকের মৃত্যুতে আদালতে ফের প্রতিবেদন দেওয়া হবে।-দৈ.শি.

Comments are closed.