প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং মূলনীতিসমূহ
প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং মূলনীতিসমূহ [special-2020]
এখানে যা যা আছে একনজরে...
- 1 প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং মূলনীতিসমূহ [special-2020]
- 2 ভূমিকা
- 3 ১.২ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্যঃ
- 4 ১.৪ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার মূলনীতিসমূহঃ
- 4.1 শিশুকেন্দ্রিকতা (Child centeredness)
- 4.2 সক্রিয় শিখন (Children as active learner)
- 4.3 পরিবারের সম্পৃক্ততা (Family involvement)
- 4.4 স্কুল – সক্রিয় সামাজিক প্রতিষ্ঠান (School as responsive social institute)
- 4.5 একীভূততা (Inclusiveness)
- 4.6 দেশীয় সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যনির্ভর শিখন (Local culture and heritage)
- 4.7 সম্পর্ক (Relationship)
- 4.8 পারিপার্শ্বিক পরিবেশ (Immediate environment)
- 4.9 পরিবেশ বান্ধবতা (Environment friendliness)
ভূমিকা
প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা বা প্রি-স্কুল হলো আনুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষার পূর্ববর্তী এক বছর মেয়াদি শিক্ষাস্তর যেখানে শিশুর সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় শিশুর স্বতঃস্ফূর্ত অভিষেক ঘটানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।
প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা মূলত ৫-৬ বছর বয়সী শিশুদের শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, ভাষাগত ও সামাজিক বিকাশের মজবুত ভিত্তি তৈরি করে থাকে। এই ভিত্তি শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১.২ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্যঃ
আনন্দময় ও শিশুবান্ধব পরিবেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার বয়সী শিশুদের (৫+ বছর) বয়স ও সামর্থ্য অনুযায়ী শারীরিক, মানসিক, আবেগিক, সামাজিক, নান্দনিক, বুদ্ধিবৃত্তীয় ও ভাষাবৃত্তীয় তথা সার্বিক বিকাশে সহায়তা দিয়ে আজীবন শিখনের ভিত্তি রচনা করা এবং প্রাথমিক শিক্ষার অঙ্গনে তাদের সানন্দ ও স্বতঃস্ফূর্ত অভিষেক ঘটানো।
১.৩ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্যঃ
ক) আনন্দময় ও শিশুবান্ধব পরিবেশে বিভিন্ন খেলা ও কাজের মাধ্যমে শিশুর সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা;
খ) শেখার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করা;
গ) শিশুর সৌন্দর্য, নান্দনিকতাবোধ ও সুকুমারবৃত্তি বিকাশে সহায়তা করা;
ঘ) শিশুকে পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করা;
ঙ) নিজস্ব সাংস্কৃতিক আচার, কৃষ্টি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয়ের পাশাপাশি এর চর্চায় উৎসাহিত করা;
চ) নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সামাজিক রীতিনীতি বিকাশে সহায়তা করা;
ছ) শিশুর স্থূল ও সূক্ষ্মপেশী তথা চলনশক্তির বিকাশে সহায়তা করা;
জ) স্বাস্থ্য সচেতনতা ও নিরাপত্তা বিধানে সহায়তা করা;
ঝ) শিশুর ভাষা ও যোগাযোগ দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করা;
ঞ) প্রারম্ভিক গাণিতিক ধারণা, যৌক্তিক চিন্তা ও সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা অর্জনে সহায়তা করা;
ট) পরিবেশের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কারণ ও ফলাফল সম্পর্ক অনুধাবনে সহায়তা করা; ঠ) শিশুর স্বতঃস্ফূর্ত কল্পনা, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশে সহায়তা করা;
ড) শিশুর আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা বিকাশে সহায়তা করা এবং নিজের কাজ নিজে করতে উদ্বুদ্ধ করা; ঢ) আবেগ বুঝতে পারা ও তার যথাযথ প্রকাশে সহায়তা করা;
ণ) শিশুকে পারস্পরিক সমঝোতা, সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও ভাগাভাগি করতে সহায়তা ও উদ্বুদ্ধ করা;
ত) শিশুকে প্রশ্ন করতে আগ্রহী করে তোলা ও মতামত প্রকাশে উৎসাহিত করা;
থ) শিশুকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলা।
১.৪ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার মূলনীতিসমূহঃ
শিশুর বৃদ্ধি, বিকাশ ও শেখা তার পরিবার, চারপাশের পরিবেশ ও সমাজ দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়।
তাছাড়া সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং শিশুর বিকাশ ও শেখার অনন্য বৈশিষ্ট্যসমূহ এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
শিশুকে পরিপূর্ণভাবে বোঝে এবং তার বৈশিষ্ট্যসমূহের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব আরোপ করে সমন্বিতভাবে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন ও দৈনন্দিন শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালনা করতে হলে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে কিছু ধারণা, নীতি ও বিশ্বাস অনুসরণ করতে হবে এবং সকল কার্যক্রমে তার প্রতিফলন থাকতে হবে।
তবেই শিশুর সুপ্ত সম্ভাবনার সার্বিক বিকাশে সহায়তা করার পাশাপাশি তার পরবর্তী জীবনের শিক্ষার জন্য শক্ত ভিত রচনা করা সম্ভব হবে।
তাই প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম প্রণয়নে ও বাস্তবায়নে নিম্নোক্ত ধারণা, নীতি ও বিশ্বাসসমূহকে মূলনীতিমালা হিসেবে অনুসরণ করা হয়েছে।
শিশুকেন্দ্রিকতা (Child centeredness)
প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার একটি অন্যতম মূলনীতি হলো শিশুকে বোঝা, তার ক্ষমতায় আস্থা রাখা এবং তার স্বভাব, প্রকৃতি, ব্যক্তিত্ব ও মতামতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। শিশুর বৃদ্ধি, বিকাশ ও শেখা প্রধানত পরিবার, বিদ্যালয় এবং সমাজ দ্বারা প্রভাবিত হয়। পরিবার, বিদ্যালয় এবং সমাজ – এই তিনটি পর্যায়েই সমন্বিতভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে তা শিশুর সুপ্ত ও অফুরন্ত সম্ভাবনা বিকাশে ও একটি সমৃদ্ধ জীবন যাপনের দিকে তাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। ফলে শেখার মানসিকতা ও শেখার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির মাধ্যমে শিশু আজীবন শিখনের ((Life- long learning) জন্য প্রস্তুত হয়।

সক্রিয় শিখন (Children as active learner)
শিশুরা সহজাতভাবেই জন্ম থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে শেখে। জন্ম থেকে প্রতিনিয়ত যে অভিজ্ঞতা ও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে শিশু বড় হয়, সেখানে তার সক্রিয় ও সহজাত অংশগ্রহণই তার শিখনের মূল ভিত্তি। চারপাশের মানুষ ও পরিবেশ সম্পর্কে জানবার দুর্নিবার আগ্রহ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার সহজাত মানসিকতার কারণে শিশুর প্রথম চাহিদা হচ্ছে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ। কেননা শিশু স্বভাবগতভাবেই সক্রিয় শিক্ষার্থী। আর তাদের বিকাশ ও শিখন-প্রক্রিয়া যেহেতু বাড়ি, বিদ্যালয় ও চারপাশের সামাজিক পরিবেশ দ্বারা প্রতিনিয়ত প্রভাবিত হয় সেহেতু সকল পর্যায়ে তার সক্রিয় শিখনের সুযোগ সৃষ্টিই শিশুর বিকাশ ও শিখনের মূলমন্ত্র ।
পরিবারের সম্পৃক্ততা (Family involvement)
পারিবারিক প্রেক্ষাপট ও পরিবেশ যথাযথভাবে শিশুর গড়ে ওঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। শিশুর ব্যক্তিত্ব, নিজের সম্পর্কে ধারণা, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গীর বিকাশ মাতাপিতা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়। শিশুর যতœ সম্পর্কে মাতাপিতার জ্ঞান, প্রত্যাশা ও সন্তান লালন-পালনের ধরন শিশুর পরবর্তী জীবনের নানা দিকের উপর প্রভাব ফেলে। এর মধ্যে রয়েছে শিশুর নিজের যতœ নেওয়ার ক্ষমতা, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি, বিদ্যালয়ে তার শেখার প্রক্রিয়া এবং সমাজে অন্যান্যদের সাথে মিলেমিশে থাকার প্রবণতা ইত্যাদি। এক্ষেত্রে মাতাপিতা হলেন একাধারে শিশুর প্রথম শিক্ষক এবং শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনে বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন। সুতরাং শিশুর বিকাশে পরিবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক এবং প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষায় শিশুর সাফল্যের জন্য পরিবারের সম্পৃক্ততা অত্যন্ত জরুরি।
বিদ্যালয় বৃহত্তর সমাজেরই একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ এবং এটি পরিবার ও সমাজের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে স্কুলকে এমন কিছু বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করতে হয় যা শিশুর জানার আগ্রহে উদ্দীপনা দিতে, নতুন পরিবেশের সংঙ্গে খাপ খাওয়াতে ও শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, নৈতিক ও নান্দনিক বিকাশ তথা সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করতে অত্যন্ত জরুরি। বিষয়সমূহ হলো:
শিশুর পারিবারিক প্রেক্ষাপট বোঝা এবং বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের সাথে অংশীদারিত্ব ও সম্পর্ক স্থাপন করা;
সামাজিক প্রেক্ষাপট ও প্রয়োজন বোঝা এবং যথাযথভাবে সামাজিক শক্তি ও সম্পদকে কাজে লাগানো; জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রবণতা বোঝা এবং সে অনুযায়ী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা। এক্ষেত্রে স্কুলকে সক্রিয় সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা পালন করতে হবে। শিশুর প্রস্তুতির সংঙ্গে যেহেতু পরিবার ও স্কুলের প্রস্তুতি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত সেহেতু শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে স্কুলের ভূমিকা গুরুত্বের সংঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে।
একীভূততা (Inclusiveness)
এক্ষেত্রে একীভূততা মানে ভিন্নতাকে সম্মান করে এবং মেনে নিয়ে সকল শিশুর অংশগ্রহণের সুযোগ ও সফলতার কথা চিন্তা করে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম এবং শিখন-শেখানো পদ্ধতি ও উপকরণ জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, সক্ষমতা, অর্থনৈতিক অবস্থা নির্বিশেষে সব ধরনের শিশু এবং তাদের পরিবারের চাহিদা ও সুযোগের কথা মনে রেখে প্রণয়ন করা জরুরি। শিখন-শেখানো পদ্ধতি ও পরিবেশ যথেষ্ট নমনীয় এবং শিশুর স্বতন্ত্র চাহিদা ও শিখন উপায়ের সংঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে যেন সকল শিশুর শেখার আগ্রহ বজায় থাকে এবং শিখন চাহিদা পূরণের সুযোগ থাকে। তাই শিক্ষাক্রম প্রণয়ন থেকে শুরু করে স্কুল ও পরিবার পর্যায়ে বাস্তবায়নের সকল ধাপে একীভূততাকে মূলনীতি হিসেবে অনুসরণ করা হয়েছে।
দেশীয় সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যনির্ভর শিখন (Local culture and heritage)
আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদাবোধ জাগ্রত করার জন্য শিশুদের নিজস্ব সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের সংঙ্গে পরিচয় করিয়ে নিজের স্বকীয়তা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তোলা জরুরি। পাশাপাশি অন্যের সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে সম্মান করার অভ্যাস গড়ে তোলাও গুরুত্বপূর্ণ। শিখনের সকল ক্ষেত্রে বড়দের সহায়তায় বাড়িতে, স্কুলে এবং সমাজে সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যনির্ভর শিক্ষাপরিবেশ নিশ্চিত করতে শিক্ষাক্রম প্রণয়নে ও বাস্তবায়নে দেশীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টিনির্ভর শিখনকে মূলনীতি হিসেবে অনুসরণ করা হয়েছে।
সম্পর্ক (Relationship)
শিশুর বিকাশ ও শেখা বহুগুণে বেড়ে যায় যদি তার সংঙ্গে অন্য শিশুর, শিক্ষকের কিংবা বড়দের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। আবার যখন পরিবারের সদস্য কিংবা সমাজের প্রতিনিধিদের সংঙ্গে শিক্ষকের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তখন সার্বিকভাবে একটি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা উদ্যোগের মানও বেড়ে যায় অনেকাংশে। সম্পর্ক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পরবর্তীতে বৃহত্তর পরিসরে সামাজিক ও মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন মানুষ হিসেবে শিশুদের গড়ে তুলতে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার প্রথম ধাপে সম্পর্ক তৈরির বিষয়টিকে গুরুত্বের সংঙ্গে বিবেচনার উদ্দেশ্যে মূলনীতি হিসেবে অনুসরণ করা হয়েছে।
পারিপার্শ্বিক পরিবেশ (Immediate environment)
পারিপার্শ্বিক পরিবেশ শিশুর বিকাশ ও শিখনকে প্রভাবিত করে। তেমনি সার্বিক সামাজিক পরিবেশ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার নীতি-নির্দেশনাকে প্রভাবিত করে। আবার সামাজিক কৃষ্টি ও সংস্কৃতি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে মাতাপিতার প্রত্যাশাকে প্রভাবিত করে। শিশুর সার্বিক বিকাশ ও শিখন নিশ্চিত করতে তাই প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে অবশ্যই তার পারিপার্শ্বিক ও সামাজিক পরিবেশের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। নিকট পরিবেশ ও চারপাশে শিশুর শেখার পর্যাপ্ত উপাদান রয়েছে। তাই শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশে পরিবার, সমাজ ও বিদ্যালয়ের সমন্বিত ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন অপরিহার্য।
পরিবেশ বান্ধবতা (Environment friendliness)
প্রকৃতি ও পরিবেশ মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এই দর্শনের বিচ্যুতি পুরো পৃথিবীকে মহা বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। আর তার শিকার হচ্ছে অপেক্ষাকৃত সুবিধাবঞ্চিতরা। একটি পরিবেশ বান্ধব প্রজন্ম এই বিপর্যয় ঠেকাতে অনন্য ভূমিকা পালন করতে পারে। আর এই ধারণার লালন শুরু করতে হবে জীবনের শুরু থেকেই। সেই লক্ষ্যে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রমে পরিবেশ বান্ধবতার বিষয়টি গুরুত্বের সংঙ্গে বিবেচনা করে এর উন্নয়ন ও বাস্তবায়নের সকল ধাপে মূলনীতি হিসেবে অনুসরণ করা হয়েছে।
এর আগের পোস্ট দেখুন: শিক্ষা উপকরণ কী, শিক্ষা উপকরণ তৈরি ও ব্যবহার
প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক সহায়িকা ডাউনলোড করুন এখান থেকে