করোনার ঔষধ আবিষ্কার করেছেন, স্বীকৃতি চান যুবকটি
করোনার ঔষধ আবিষ্কার করেছেন, স্বীকৃতি চান বরিশালের, বাবুগঞ্জের যুবকটি
বিংশ শতাব্দির সবচেয়ে বড় দূর্যোগ হিসেবে বিবেচিত প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বের চিকিৎসা জগতের ভিতকে ঝাঁকুনি দিয়েছে, নাড়া দিয়েছে।
বড় বড় চিকিৎসা গবেষকরা চলমান মৃত্যুর মিছিল রোধকল্পে এই ভাইরাস মোকাবেলায় ঔষধ আবিষ্কারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
তবু এখনো কোনে সাফল্যের কিনারায় পৌছাতে পারেনি। যতটুকু আশার আলো তা আলোচনায় সীমাবদ্ধ।
এর মধ্যে কিঞ্চিত আশার আলো জ্বালিয়েছেন বরিশালের এক গ্রাম্য যুবক।
তার গবেষণায় আবিষ্কৃত করোনা উপসর্গ নিরাময়ে একটি করোনার ঔষধ উদ্ভাবন করেন।
পরীক্ষামূলকভাবে জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত বেশ কয়েক ব্যক্তিকে এই ওষুধ দিয়ে সফলতা পেয়েছেন।
গাছের নির্জাস দিয়ে তৈরি ওষুধটি নিজের দেহেও প্রয়োগ করে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলে নিশ্চিতও হয়েছেন।
এখন অপেক্ষায় রয়েছেন ঢাকা সাইন্স ল্যাবরোটরীতে উদ্ভাবিত করোনার ওষুধটির টেস্ট করা এবং
এর মাধ্যমে নিজের আবিস্কারের সাফল্যের এই টনিক মহাদূর্যোগে অমূল্য ওষুধ হিসেবে ব্যবহাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাীকৃতি পাওয়ার।
খবরটি নিয়ে স্থানীয়রা বেশ পুলকিত হয়েও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বিষয়টিকে হালকাভাবে নিয়েছে।
আলাপচারিতায় এমনটি বললেন, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার পূর্ব-রহমানপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম।
স্থানীয় জানান, করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ্ব এখন স্তম্ভিত।
এসময় তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলের এই ওষুধ আবিস্কারের খবর আশপাশের জানাজানিতে এখন অনেকেই তার দুয়ারে কড়া নাড়ছে সেবন করে আত্মরক্ষার তাগিদে।
কলেজের গন্ডি পেরুতে পারেনি এই যুবক।
এসএসসি পর্যন্ত পড়ালেখার সমাপ্তি টেনে তার চাচার কবিরাজি পেশা নিজে রপ্ত করেন।
মূলত হারবাল চিকিৎসা পদ্ধতির উপর ২৩ বছর এই যুবক গবেষণার কাজ করছিলেন।
সেই থেকে তাকে ছোট মাপের গ্রাম্য কবিরাজ হিসেবেও সিরাজুলের পরিচয় রয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধক ওষুধ আবিষ্কারে বিশ্বের চিকিৎসা গবেষকরা প্রাণপণ চেষ্টা চলছে।
হঠাৎ করে গত কয়েকদিন পূর্বে সিরাজুল গাছ-গাছালির নির্জাস থেকে দুলভ ওষুধটি আবিস্কার করে।
আর নিজের সাফল্য জানান দিতে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকজন করোনা উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ব্যবহারে পরামর্শ দিয়ে হৈচৈ ফেলে দেয়।
জ্বর-কার্শি ও গলাব্যাথায় আক্রান্ত এ ধরণের অন্তত ১০জন রোগী উপর করোনার ঔষধ প্রয়োগ করে।
প্রাথমিকভাবে এই ওষুধটি নিজ আগ্রহে সিরিঞ্জ দিয়ে শরীরে পুশ করে মাত্র ১২ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই অলৌকিকভাবে আরোগ্য লাভ করেছে বলে জানা গেছে।
ওষুধটির কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তা নিশ্চিত হয়েছেন নিজের দেহে একাধিক বার করোনার ঔষধ হিসেবে এ ওষুধটি প্রয়োগ করে।
তার দাবি, করোনা উপসর্গের যে কয়টি ধরণ রয়েছে, তা বহন করে চলা রোগীরা এই ওষুধ ব্যবহার করে শতভাগ আরোগ্য লাভ করবে।
ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দার সাথে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারা বলেন, প্রথমে সিরাজুলকে নিয়ে অনেকেই হাসি তামাশা হিসেবে বিষয়টিকে দেখেছে।
পরবর্তীতে আরোগ্য লাভের উদাহরণে করোনার ঔষধ পাওয়ার জন্য তার বাড়িমুখী এখন অনেকেই ছুটতে দেখা যাচ্ছে।
আত্মরক্ষার প্রস্তুতিমূলক ওষুধটি ব্যবহার করে আগেভাগেই এই ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে।
পুলকিত এই যুবক তার করোনার ঔষধ জন্য আবিষ্কৃত ওষুধটি নিয়ে বেশ আশাবাদি হয়ে উঠেছে।
সিরাজুল জানান, চীনের উহানে যখন এই ভাইরাস নিয়ে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়।
তখন এই রোগ মহামারি আকার ধারণ করে কি না সেই শঙ্কা করেন।
সেই তাগিদে এই ভাইরাস প্রতিরোধক ওষুধটি নিয়ে গবেষণার কজ শুরু করে।
কয়েক ধরণের বনজ গাছ-গাছালির নির্জাস দিয়ে তার গবেষণায় ওষুধটি পূর্ণতা পায়।
এখন পথ খুঁজছে কিভাবে স্বীকৃতির প্রাপ্তির বিপরীতে এই দূর্যোগ মুহূর্তে তা ব্যবহারে প্রাতিষ্ঠানিকতার।
সেই লক্ষ্যে পৌছাতে ওষুধটি নিয়ে ঢাকা সাইন্স ল্যাবরোটরীতে পরীক্ষা করে এর গুণগত মান যাচাই করার উদ্যোগ নিয়েছে।
এদিকে করোনা নিয়ে গোটা দেশ লকডাউন থাকায় যাতায়াতের পথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় তার ঢাকা যাওয়া বিলম্বিত হচ্ছে।
তাছাড়া গ্রাম্য অর্ধশিক্ষিত যুবক হিসেবে তার আবিস্কারকে চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা আমলে নিতে চাইছে না বলে তিনি মনে করেন।
তবুও হাল ছাড়তে নারাজ এই যুবক প্রাণঘাতি এই ভাইরাসের প্রতিরোধক ওষুধটি নিয়ে যেভাবেই হোক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে এখন যোগাযোগের মাধ্যম খুঁজছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বাসুদেবের সাথে সিরাজুলের করোনার ঔষধ আবিষ্কারের কথা হলে তিনি কিছুটা বিস্মিত হন বলে জানা যায়।
এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ভাষ্য হচ্ছে, এই প্রথম তিনি এই বিষয়ে অবহিত হলেন পড়শী কোন যুবক প্রাণঘাতি করোনার প্রতিরোধক খুঁজে পেয়েছে।
করোনার ঔষধ এই বিষয়টি তিনি হালকাভাবে দেখলেও খোঁজ-খবর নেয়ার গুরুত্ব দেয়ার ইঙ্গিত দেন।
করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আরও জানুন। করোনায় নিজেকে আক্রান্ত বোধ করলে কী করণীয় ?